পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তৈরি পোশাক কারখানা সংস্কারে জাইকার ২৬৮ কোটি টাকার একটি কম সুদের তহবিল পড়ে আছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। জাপানি পরামর্শকের বেতনের ওপর কর অব্যাহতি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এ তহবিলের ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে জাইকা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের জন্য ৩৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও এখনও ঋণের জন্য কোনো আবেদন আসেনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজমের সভাপতিত্বে গত মাসে জাইকার অর্থায়নের প্রকল্পের ওপর উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান তাকাতোশি নিশিকাতা বলেন, তৈরি পোশাক খাতের কারখানা সংস্কার প্রকল্পে পরামর্শকের বেতনের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি ঋণ চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। তবে এনবিআর থেকে এ বিষয়ে অনাপত্তি না পাওয়ায় পরামর্শক নিয়োগ ঝুলে আছে। স্থগিত হয়ে আছে প্রকল্পের জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ। ফলে তহবিলটি অকেজো পড়ে আছে।
সূত্র জানায়, জাইকার এ তহবিলের পরামর্শকের বেতন করমুক্ত হওয়ার কথা। এনবিআরকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হবে বলে বৈঠকে ইআরডি সচিব জাপানি প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। জানা গেছে, গত বছরের ২৭ মার্চ থেকে ৪২৪ কোটি জাপানি ইয়েন বা ২৬৮ কোটি টাকা তহবিলের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এ তহবিলের জন্য সরকারকে প্রতি একশ’ টাকায় এক পয়সা বা শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তহবিল দেবে এক-শতাংশ সুদে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে মাত্র ২ শতাংশ সুদে অর্থ দেবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদ নিতে পারবে ৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশীয় ব্যাংকের ঋণের গড় সুদহার রয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতের কারখানা সংস্কার ছাড়াও পুনর্গঠন, পুনর্ন্মািণ ও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একজন সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
জানা গেছে, জাইকা তহবিল থেকে ঋণ নিতে সংশ্লিষ্ট তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আবেদনে ঋণ নেওয়ার কারণ, পরিমাণসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করতে হবে। এরপর ব্যাংক আবেদন পাঠাবে সরকারের গণপূর্ত বিভাগে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি কত টাকা পাওয়ার যোগ্য তা মূল্যায়ন করবে। এ মূল্যায়ন প্রতিবেদনসহ ব্যাংক থেকে ওই আবেদন পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এরপর ঋণ ছাড়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ ছাড়ের এ প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত জটিল উল্লেখ করে তা সহজীকরণের দাবি জানিয়েছেন। পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর এক নেতা জানিয়েছেন, কঠিন শর্তের কারণে জাইকা তহবিল থেকে ঋণ নিতে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কম। সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে এ তহবিল থেকে ঋণ ছাড়ের শর্ত সহজ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।