Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১১ মাসে আমদানি বেড়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের (জুলাই ২০১৬-জুন ২০১৭) প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ১শ’ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া ৪৩৪ কোটি (প্রায়) ডলার মূল্যমানের আমদানি বৃদ্ধির খবর জানিয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার মান অনুযায়ী যা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি (৩৪ হাজার ৯৯৫ দশমিক ৬ কোটি) টাকার সমান। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা শিনহুয়ার কাছে দাবি করেন, প্রধান প্রধান খাদ্যের আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে মোট আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকারও আভাস দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উদ্ধৃত করে ওই কর্মকর্তারা বলেন, জুলাই-মে মাস সময়ের মধ্যে সত্যিকারের আমদানি হিসেবে পরিচিত ঋণপত্রের নিষ্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৯৯৮ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলারে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৬৬১ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-মে মাস সময় পর্যন্ত সার্বিক আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। সার্বিক আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার আর্থিক পরিমাণ বেড়ে জুলাই-মে মাসে ৪৪ হাজার ১১৮ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্রের পরিমাণ ছিল ৩৮ দশমিক ৭১১ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেওয়ায় সরকারকে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করার প্রয়োজন হবে। আর এতে বাংলাদেশের আমদানি বাড়তে থাকবে।
নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সা¤প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান প্রধান খাদ্য আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্বিক আমদানিও বেড়েছে। বাংলাদেশ কর্মকর্তারা জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে দেশের একটি বিশাল অংশের বসতি এলাকা, শস্য, সড়ক এবং মহাসড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানান, রিজার্ভ পরিপূর্ণ করতে এবং চালের দামের লাগাম টেনে ধরতে মে মাসে ৬ লাখ টন প্রধান খাদ্যশস্য আমদানির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
দেশের বাজারে প্রধান খাদ্যশস্যের দামের অস্থিতিশীলতা কাটাতে গত মাসে চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। দুই দেশের সমঝোতার অংশ হিসেবে ১৪ জুন ভিয়েতনাম থেকে ২লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার।
খাদ্যের দাম বিশেষ করে প্রধানতম খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের মূল উদ্বেগের কারণ। কারণ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ এখনও জাতীয় দারিদ্র্যসীমা রেখার নিচে বাস করেন। তাদেরকে আয়ের বড় একটা অংশ খাদ্য কেনার জন্য ব্যয় করতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ