বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : আড়াই মাসেও সরকারি গুদামে চাঁদপুরের মিল মালিকরা চাল না দেয়ায় সরকারি খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডিতে) দেখা দিয়েছে চাল সঙ্কট। মিল মালিকরা যথাসময়ে চাল না দেয়ার কারণে শত শত ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড প্রাপ্তদের চালের পরিবর্তে গম দেয়া হয়েছে। মিল মালিকরা জানিয়েছেন বর্তমান সময়ে ধান ও চালের দামে সমন্বয় না হওয়ায় লোকসান গুণতে হবে। তাই চাল দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই চাল দেয়া হবে বলে জানান তারা।
আর্থিক লোকসানের আশঙ্কায় চলতি বোরো মৌসুমে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে চাল জমা দিচ্ছে না জেলার চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা। অথচ চুক্তি অনুযায়ী চার মাসের মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠাকে ৩৪ টাকা কেজি দরে নির্ধারিত পরিমাণ চাল সরকারকে দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ মিল মালিকই চাল দিতে টালবাহানা করছে। গত আড়াই মাসে মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠান চাল দিয়েছে। মিল মালিক প্রতিনিধিরা বলছেন, এখন চাল দিলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন তাদের।
চাঁদপুর খাজা বাবা অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপক দ্বিপক ঘোষ ও রওশন অটো রাইচ মিলের ব্যবস্থাপক জেবল হক জানান, সত্যি বলতে কি আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই চাল দিয়ে দেব। সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩৪ টাকা দরে কিনেছিলো। কিন্তু মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে চাল দিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাই চালের দাম কমার অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ে চাল দেয়ার জন্যে আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ করেছেন বলে জানিয়েছেন মিল মালিক প্রতিনিধিগণ।
সরকারি গুদামে চাল দিতে ঢিলামির কথা স্বীকার করে চাঁদপুর মিল-মালিক সমিতির সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন চাল দিলে লোকসানের মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকারি গুদামে চাল জমা দেয়া হবে বলে জানান। চাঁদপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র জানান, নির্ধারিত সময়ে চাল দেয়ার জন্যে মিল মালিকদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যথা সময়েই মিল মালিকরা চাল দেবেন। আর না হয় ঠিকাদারি ডিলারদের জামনাত বাজেয়াপ্ত করা হবে। ঠিকাদাররা আগেই ৪০হাজার টাকা করে জামানত ৭০টাকা করে ৫শ’ বস্তার মূল্য জমা দিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী চাঁদপুরে ১২টি রাইস মিল মোট ২৪০ মেট্রিক টন চাল আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে গুদামে জমা দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠান মোট ৭০ মেট্রিক টন চাল জমা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।