Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুণীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়াই মহত্বের লক্ষণ

সেতু পরিদর্শনকালে ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা,কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজার সদর-রামুর (বিএনপি ঘরানার) সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, সমাজে গুণী ব্যক্তিদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়াই মহত্বের লক্ষণ। কারো অবদানকে খাটু করে দেখা কাম্য নয়। সাম্প্রতিক বন্যায় গর্জনিয়া ক্ষতিগ্রস্থ খালেকুজ্জামান সেতু পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি সেতুর এ্যপ্রোস রক্ষায় সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছায় দায়িত্বেরত (আ. লীগ নেতা) ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুলের প্রতি সংহতি জানান এবং এব্যাপারে অবদান রাখার জন্য (আ. লীগের বর্তমান) এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও (আ. লীগের) উপজেলা চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান। বিষয়টি এলাকায় খুবই আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছে।
গত একমাস ধরে বৃষ্টি ও ঢলের পানি উপেক্ষা করে রাত দিন পাহারা দিয়ে বাঁকখালী খালের উপর নির্মিত গর্জনিয়া খালেকুজ্জামান সেতুর এ্যপ্রোস সড়ক রক্ষা করেছেন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। গতবছর জুনে সেতুর দক্ষিণ পাশের এ্যপ্রোসটি ভেঙ্গে গিয়ে গেল বছর বর্ষায় ভোগান্তি বাড়ে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও বাইশারি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের। গত জানুয়ারী থেকে ৪ শত ৩০ ফুট এ্যপ্রোস নির্মাণ করে রাত দিন পাহারা দিয়ে আসছেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তুমুল বর্ষণের সময় সেতুর এ্যপ্রোসে টংএর উপর সৈয়দ নজরুলের শুয়ে থাকা ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে শিরোনাম হয়েছেন চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চেয়ারম্যান নজরুলের এই প্রচেষ্টায় তারা খুশী। সৈয়দ নজরুলের সাথে কথা বলে জানাগেছে, লোক দেখানোর কোন বিষয় নয়। এটা বাস্তব যে, শাহ সোজা সড়কের গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার বাকঁখালী পয়েন্টে খালেকুজ্জামান সড়কের এ্যপ্রোস ভেঙে গিয়ে এলাকার মানুষ কষ্ট পেয়েছেন। ওই এপ্রোস নির্মাণ করে রাত দিন পাহারা দিয়ে এপর্যন্ত রক্ষা করে আসছি। সৈয়দ নজরুল জানান, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল এবং উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমের সহযোগিতায় তিনি ৪ শত ৩০ ফুট এ্যপ্রোস নির্মাণ করেছেন। এজন্য তিনি এমপি কমল ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ। এব্যাপারে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় হলেও জেলা, উপজেলা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বরাদ্দ তিনি এখনো পাননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ