বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২৭ হাজার মে. টন চাল নিয়ে আরেক চালান চট্টগ্রাম বন্দরে
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সরকারি গুদামে খাদ্যের মজুদ বৃদ্ধি ও চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা প্রথম চালানের পর গতকাল (সোমবার) ভোরে ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে এমভি প্যাক্স নামের আরেকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আগামী ১৯ জুলাই দ্বিতীয় চালানের চাল আসার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগে বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে জাহাজটি। আজ (মঙ্গলবার) প্রথম চালানের চাল খালাস হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, কাস্টমসের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বহির্নোঙরে জাহাজটি থেকে কিছু চাল খালাস করা হবে। পরে জেটিতে প্রবেশ করবে জাহাজটি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় ভিয়েতনাম থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে আসা প্রথম জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে। সূত্র জানায়, এমভি ভিসাদ নামের এ জাহাজটি এখনো বহির্নোঙরে রয়েছে। এটি থেকে ছোট লাইটার জাহাজের মাধ্যমে চাল খালাসের কাজ চলছে। আড়াই হাজার মেট্রিক টন চাল খালাসের পর জাহাজটি আজ জেটিতে প্রবেশ করবে। শিপিং এজেন্ট ইউনি শিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসাইন জানান, চলমান খাদ্য সংকট নিরসনে সরকার ভিয়েতনাম থেকে চালগুলো আমদানি করছে। এর মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে প্রথম জাহাজটি আসার কয়েকদিন পর ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি গতকাল বন্দরের বহির্নোঙরে এসেছে। তিনি জানান, অপর জাহাজটি ২২ জুলাই এসে পৌঁছাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ, শিপিং এজেন্ট ও খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে উত্তাল বহির্নোঙরে বড় জাহাজের পাশে ছোট জাহাজ এমভি জুপিটার বেঁধে দেড় হাজার টন চাল খালাস করা হচ্ছে। যাতে বড় জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশ) কমে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে আনার উপযোগী ৮ দশমিক ৫ মিটারের নিচে নেমে আসে। বর্তমানে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের জেটিতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফট ও ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভেড়ানো যায়। তবে এনসিটি ছাড়া অন্য সব জেটিতে ওই ড্রাফটের জাহাজ আনা যায় না। জেটিতে জাহাজ ভিড়ানোর পর সেখান থেকে ক্রেনের সাহায্যে চালগুলো ইয়ার্ডে অথবা সরাসরি ট্রাকে নামানো হবে। এরপর চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকার সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে মজুদ করা হবে সেই চাল।
ডবিøউটিসির নির্বাহী পরিচারক মাহবুব রশীদ জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের চাল খালাসের জন্য একটি জাহাজ কোম্পানিতে লাইটার শিপ সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। তারা একটি জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়েছিল। কিন্তু খোলা পণ্য হিসেবে না এনে চালগুলো আনা হয়েছে বস্তাভর্তি করে। তাই লাইটারটি উপযোগী না হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরেকটি জাহাজ দেয়া হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম বলেন, চাল যতক্ষণ ট্রাকে লোড করা হবে না ততক্ষণ আমরা চালান বুঝে নেয়ার সুযোগ নেই। সেই হিসেবে আমরা এখনো চাল বুঝে পাইনি। আশা করি, আজ বহির্নোঙরে থাকা বড় জাহাজ এবং লাইটারিং করা ছোট জাহাজ জেটিতে ভিড়বে। এরপর ট্রাকে চাল খালাস করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।