Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমন আবাদে ব্যস্ত রাজশাহী অঞ্চলের কৃষক

| প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : আষাঢ় প্রায় বর্ষন শুন্য অবস্থ্রায় বিদায় নেবার আগে একেবারে শেষ মুহুর্তের ভারী বর্ষনে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সাথে বেড়েছে ব্যবস্ততাও। জমিতে জো আসায় অপেক্ষায় থাকা কৃষক ব্যাস্ত সময় পার করছে আমন আউস আবাদ নিয়ে। অনেকেই আগে বীজতলা তৈরী করে ভাল চারা তৈরী করেছে। কিন্তু বর্ষনের অভাবে মাটিতে জো না আসায় তারা তা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারেনি। বৃষ্টি শুন্য আষাঢ়ের মতিগতি দেখে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল। মাস শেষের পথে অথচ ভারী বর্ষন নেই। অন্যদিকে বীজতলা প্রস্তুত। আকাশ পানে চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিল। একেবারে আষাঢ়ের শেষ মুহুর্তে এসে দু’দিনের ভারী বর্ষন তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। আর তাতেই মনের আনন্দে কৃষক মাঠে নেমে পড়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের মাঠে মাঠে কৃষকের ব্যাস্ততার চিত্র সে কথা বলে দেয়। আর এ কারনে মজুর সংকট দেখা দিয়েছে। সবাই চায় জো থাকতে চারা রোপন করতে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এবার রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী চাপাইনবাবগঞ্জ নওগা নাটোর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ হেক্টরের বেশী জমিতে। এরমধ্যে রাজশাহীতে সত্তর হাজার হেক্টরের বেশ জমি রয়েছে। বীজতলা তৈরী হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে সব মিলিয়ে আর রাজশাহী অঞ্চলে বীজতলা হয়েছে আঠারো হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া মোটামুটি অনুকুল থাকায় ভাল চারা গজিয়েছে। এখন শুধু রোপনের অপেক্ষা। ভারী বর্ষনে নিচু জমিতে জো আসলেও বরেন্দ্রের উচু জমিতে আরো বৃষ্টির প্রয়োজন বলে জানান কৃষকরা।
অবশ্য কৃষি বিভাগ বলছে সবে মাত্র আমন আবাদের মওসুম শুরু হয়েছে। শ্রাবন মাসের পুরোটা জুড়েই রোপন চলবে। আশা করা যায় শ্রাবনে ভাল বৃষ্টিপাত হবে। শেষ মুহুর্তে ভারী বর্ষন উপকার বয়ে এনেছে আউস আবাদে। ডোবা নালায় পানি জমায় সেখানে পাট জাগ দেয়ার কাজ চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ