বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে একটি হত্যামামলায় এক আসামির মৃত্যুদÐ এবং অপরজনের যাবজ্জীবন কারাদÐের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রাজশাহীর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এ রায় ঘোষণা করেন।
দÐপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মোল্লাপাড়া এলাকার সাবু ছেলে আবদুল মালেক (৪২) ও জেলার পবা উপজেলার দারুশা গ্রামের ভদু মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।
এদের মধ্যে মালেকের মৃত্যুদÐ এবং জাহাঙ্গীরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সদস্য আল-আমিনকে (২৯) হত্যার দায়ে এই দন্ডে দন্ডিত হলেন আসামিরা। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলি এন্তাজুল হক বাবু। তিনি জানান, ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট মোল্লাপাড়া এলাকায় তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল-আমিনের ওপর হামলা চালান মালেক ও জাহাঙ্গীর। পূর্ব শত্রুতার জেরে চালানো এ হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলমগীর।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মালেক ও জাহাঙ্গীরকে আসামি করে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন নিহত আল-আমিনের বাবা আবদুল ওহাব। এ মামলায় মোট ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়। তবে আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষেই এ রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় মামলার দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মুন্না সাহা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত আল-আমিনের স্বজন এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। নিহতের ছোট ভাই রাফিয়াত ইসলাম বাবু বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তষ্ট। তবে আমরা চাই দ্রæত এ রায় বাস্তবায়ন করা হোক। রাষ্ট্রের কাছে এখন এটিই প্রত্যাশা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।