Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল -মির্জা আজম

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার: পাট প্রতিমন্ত্রী ও যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে সেদিন অবৈধভাবে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করতে চেয়েছিল তৎকালীন ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার। কিন্তু সেদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আর খালি পেটে, খালি গায়ে থাকে না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আগামী নির্বাচনে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করার আহŸান। তিনি আরও বলেন- আমরা ব্যক্তিগতভাবে কি পেলাম-কি পেলাম না সেটা বড় কথা নয়। আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বি-নির্মাণের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আহŸান জানান।
গতকাল রোববার বিকালে শেখ হাসিনার গ্রেফতার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় সভাটি হয়।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ১৬ জুলাই বাঙালির ইতিহাসে আরেক কলংকিত দিন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তার সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশকে যখন আমি দরিদ্রমুক্ত, ক্ষুদামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরব, সম্ভবত তখনই আমি বলতে পারব, আমি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ঠিক বছর দশেক আগের সেই দিনটিকে কলঙ্কিত করার দুঃসাহস দেখিয়ে তারা কেবল দেশে অশান্তির আগুনই জ্বালিয়ে ছিল না, সেই সঙ্গে নিজেদের পতনের সুড়ঙ্গও প্রশস্ত করে ফেলেছিল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, এ্যাড. বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মোহাম্মদ ইসলাম, শ্যমল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারন সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, দফতর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সহসভাপতি মজিবুর রহমান যুগ্ম-তাসভীরুল হক অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক বিশ্বাস, শাহাদাত হোসেন সেলিম, সেলিম মৃধা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ