Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্বে মাছের আড়ৎ

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাছ বহনকারী যানের অবৈধ পার্কিং দীর্ঘ যানজটে নাকাল যাত্রী
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশেই গড়ে ওঠেছে স্থায়ী মাছের আড়ৎ। তাতে মাছ বহনকারী ট্রাক ও পিকআপগুলো ভোর থেকেই সড়কে পার্কিং করে রাখায় তৈরী হয় যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের উপর গোলাকান্দাইল এলাকায় গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ। শুধু তাই নয়, যানজট থাকায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের যাত্রীবাহী বাস ও পন্যবাহী ট্রাকগুলো দীর্ঘসময় আটকে থাকে এখানে। একই আড়তের পাশেই রয়েছেএশিয়ান বাইপাস নামে অপরএকটি মহাসড়ক। এ সড়ক পথেও দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। ফলে এ মাছের আড়তের প্রভাব পড়ে ব্যস্ততম উভয় মহাসড়কে। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছের আড়ৎ বসিয়ে নিত্য যানজটের সৃষ্টি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও রাজধানী ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ভৈরব, চাঁদপুর প্রভৃতি জেলাসমূহ হতে প্রতিদিন মাছের পাইকাররা এখানে মাছ নিয়ে আসেন। অভিযোগ রয়েছে এখানকার পাইকারী মাছ ব্যবসায়ী মতিলাল বাবুর অধীনে ২০টি স্থায়ী মাছের আড়ৎ ভিটা রয়েছে। এসব আড়ৎ ভিটাগুলো গাউছিয়া মার্কেকের মালিক পক্ষ থেকে ভাড়ায় নিয়েছেন তিনি। তার অধীনে রয়েছে আরো ২০টির অধিক মাছের আড়ৎ । এগুলো বাৎসরিক ১লাখ ৮০ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছেন অপর পাইকারী মাছ বিক্রেতা সন্তোষ বাবু, হরিদাস বাবু, গোপাল, গফুরমুন্সি, শুওকাত, সাত্তার হাজীসহ অন্যান্য পাইকারদের কাছে। এসব পাইকাররা প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাক, পিকআপ ও ভ্যান মাধ্যমে মাছ বহন করে নিয়ে আসেন এখানে। এসব যানবাহনের সংখ্যাও শতাধিক। তবে পার্কিং জোন না রেখে মাছের আড়ৎ স্থাপন করায় উক্ত গাড়িগুলো ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশেই পার্কিং করে রাখে। মাছের আড়ৎদার প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সকাল১০ টা পর্যন্ত এসব ট্রাক মহাসড়কের এ অংশে পার্কিং করে রাখে। ফলে একদিকে তৈরী হয় যানজট অপরদিকে বিশাল পরিমাণ মাছগুলোর দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় ক্রেতা বিক্রেতার অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বারবার এখান থেকে মাছের আড়ৎ সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়ে আসলেও উল্টো তারা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে একই সড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভুলতা ফøাইওভার নামক মেগা প্রকল্পের কাজেও প্রভাব পড়ছে মাছের আড়ৎটির। ফলে অবিলম্বে তা সরিয়ে অন্যত্র নেয়ার দাবী করেছেন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছাঁয়াও এখনো তা না সরানোতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন লোকজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ