বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বিজিবিতে যোগ দিলেন আরও ৯৭ জন নারী সৈনিক। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল মাঠে প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্টিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা বিজিবির নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পুরুষ সৈনিকদের থেকে পিছিয়ে নেই। আপনারা যোগ দেয়ায় এ বাহিনীর কার্যকারিতা আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি। বিজিবির ৯০তম ব্যাচে ১০০ জন নারী সৈনিক প্রশিক্ষণ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৯৭ জন সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও পুলিশের পর গতবছর সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেও নারী সৈনিকের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমবার ৮৮ ব্যাচ থেকে ৯৭ জন নারী সদস্য বিজিবিতে যোগ দেন। পরের ব্যাচে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও ৯৫ জন। এবারের ৯৭ জনকে নিয়ে তিন ব্যাচে মোট ২৮৯ জন নারী সৈনিক এ বাহিনীতে যুক্ত হলেন। ৯০তম ব্যাচে নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ৪৩৩ জন সৈনিক প্রশিক্ষণ পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের মধ্যে সব বিষয়ে সেরা হয়েছে নারী সৈনিক পাপিয়া আক্তার। বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা বলেন, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়ে বলেন, একটি বলিষ্ঠ ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কঠোর প্রশিক্ষণ, মানসিক দৃঢ়তা, অধ্যাবসায় ও সঠিক নেতৃত্ব। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মহসিন রেজা বলেন, ২০১৫ সালে বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফের আমন্ত্রণে তাদের নবীন সদস্যদের কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিএসএফের মহাপরিচালক এসেছেন। বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের কমাডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক ও বিজিবি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, বোমাং সার্কেল এর সম্মানিত রাজা প্রকৌশলী উচ প্রু চৌধুরীসহ গণ্যমান্য/স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন সৈনিকদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর এ টি এম আহসান হাবীব এবং প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মোঃ শাহাদত হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।