Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় স্কুলে

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : মাত্র ১৫০ মিটার মাটির রাস্তার অভাবে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিক্ষার্থীরা বর্ষার ৩টি মাস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে থাকে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়। কাজিপুর সদর ইউনিয়নের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে যমুনার ভাঙ্গনের কবলে পড়লে বর্তমান অবস্থান একই ইউনিয়নের সিংড়াবাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার পশ্চিম পার্শ্বে স্থানান্তর করা হয়। পরের বছর উল্লেখিত স্থানে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবন নির্মানের মাধ্যমে অধ্যবদি বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলহাজ্ব রহিমা পারভীন জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষিকা ১০২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিবছর পিএসসিতে ভালো ফলাফল সহ সকল পরিক্ষায় মেধা তালিকায় সুনাম অর্জন করেছি। আর এসমস্থ আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অত্যান্ত নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভব হয়েছে। তবে তিনি ক্ষোভ করে জানান বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের প্রায় দুইযুগ অতিক্রান্ত হলেও মাত্র ১৫০ মিটার কাঁচা রাস্তায় মাটি ফেলার অভাবে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুই পাশে গভীর গর্তের মাঝখানে সুরু রাস্তা দিয়ে কচিকাচা ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত করতে হয়, ভয় হয় যদি পা ফসকে গর্তে পড়ে যায়।
প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুল করিম জানান, প্রধান শিক্ষকা আলহাজ্ব রহিমা পারভীন একজন ধর্মানুরাগি ও বিদ্যানুরাগি মহিলা। প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে সরকারকে লিখে দেয়ার পর বিদ্যালয়টিতে পাকা ভবন হয়েছে। যাতায়াতের কষ্টের কথা স্বীকার করে বলেন সরকারি জায়গা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করলে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ