হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
আফতাব চৌধুরী : কিছুদিন আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একটা নির্দেশিকা জারি করে, যাতে বলা হয়েছে, হত্যার লক্ষ্যে গবাদি পশু তথা গরু কেনাবেচা করা যাবে না। প্রথমেই কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামেন মুসলিম সংগঠনের নেতারা। তাদের মতে, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার ফলে দলিত ও মুসলিমরা সমস্যায় পড়বে। আর তাই তারা কেন্দ্র সরকারের কাছে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
পীরজাদা ত্বহা নামের এক মুসলিম ধর্মীয় নেতার বক্তব্য, গরু কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কেন্দ্রীয় সরকার কে? ভারতে সুপ্রিমকোর্ট আছে, আইন আছে। যে যখন ক্ষমতায় বসবে, তার কথা তখনই কি মেনে নিতে হবে? মানুষ কী খাবে, কী পরবে, তা ঠিক করে দেবার নরেন্দ্র মোদি কে? জামির হাসান নামের এক মুসলিম ব্যবসায়ী বলেন, বিজেপির সব কথা কেন মেনে নিতে হবে? ভারতের দলিত, মুসলিম, খ্রিস্টান, আদিবাসী সব সম্প্রদায়ের মানুষই গোমাংস খান, বিদেশে রপ্তানি হয় কোটি কোটি টাকার গো মাংস। গোমাংস বন্ধ হলে এত চামড়ার চাহিদাইবা কী করে মেটাবে সরকার? দেশে প্রায় তেরো কোটি গরু-মহিষ আছে। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ কোটি গরু-মহিষ জন্ম নেয়। গবাদি পশু পুষতে দু’লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। তা ছাড়া, চর্মশিল্পের সঙ্গে পশ্চিমবাংলায় পাঁচ লক্ষ মানুষ জড়িত। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আসলে বিজেপি চাইছে দলিত ও মুসলিমকে শেষ করে দিতে। আসলে সারা দেশকেই তারা শেষ করে দিতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদের কোনো নীতির ঠিক নেই। মানুষের ক্ষতি করা ছাড়া এদের আর কোনো কাজ নেই। নোট বদল করে ছোটো ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যেই পেছনে ফেলেছে তারা। এসব কথা বলছে সে দেশেরই বিভিন্ন শ্রেণী ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরা। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান বলেছেন, এ দেশের এক বিরাট অংশ গরু-মহিষের মাংস খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশের জনগণের খাদ্য স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। কে কী খাবেন, আমিষ খাবেন না নিরামিষ খাবেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এনিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ ঠিক নয়।
তারপর প্রকাশ্যে গো-হত্যা করে কেরলের কিছু যুব কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান। কেরলের কুন্নুড়ে সেই ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া সেদিন গোমাংস রেঁধে বিলিও করেন তারা। কেরলের বিজেপি সভাপতিকে রাজশেখর সেই গো-হত্যা এবং গোমাংস রেঁধে বিলি করার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। দেখা যায়, সেই কর্ম করবার সময় তারা যুব কংগ্রেস জিন্দাবাদ শ্লোগানও দেন। এ ব্যাপারে দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের প্রশ্ন করা হলে তারা ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। কেউ কেউ আবার জোর গলায় বলেন, যুব কংগ্রেস নেতারা এ রকম কান্ড করতেই পারেন না। কিন্তু যুব কংগ্রেস নেতা মাকুট্টি সেই ঘটনাকে স্বীকার করে নেন। তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এতে কোনো দোষের কিছু নেই। প্রতিবাদের ধরন এটি। জনগণকে খাবার খেতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। এটাই সবচেয়ে বড় নৃশংসতা। আজ যে গরু কাটা হয়েছে, একজন কসাই-ই তা কেটেছেন। সব নিয়ম মেনেই কাটা হয়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর যে আঘাত করেছে তার প্রতিবাদ জানাতেই এটি করা হয়েছে। মাংসের জন্যই পশু হত্যা করা হয়। এখানে তাই করা হয়েছে। যদি আমরা ভুল কিছু করে থাকি, তা হলে আদালতই তা নির্ণয় করবে।
তিনি বলেন গত ২৯ মে সোমবার, এ-বিষয়ে ফেসবুকে একটা লেখা পোস্ট করেন। তাতে লিখেছিলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গরু কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কে কী খাবে, কী পরবে, কেমন জীবন কাটাবে-এসবের দিকেও নজর দিচ্ছে। তার মতে এটা কিন্তু মারাত্মক অন্যায়। এটা মৌলিক অধিকার হনন করার অপচেষ্টা মাত্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রত্যেকের নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। থাকা চাই। সেটা কোনো সরকার ছিনিয়ে নিতে পারে না। কারণ, ভারতের প্রচুর লোক গরু খায়। মুসলিম, আদিবাসী, দলিত, খ্রিস্টান এবং নর্থ-ইস্ট এর বেশির ভাগ রাজ্যের লোকেরা গোমাংস ভক্ষণ করে। আর এবার গরু কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশের সরকার এক বৃহৎ অংশের মানুষের মৌলিক অধিকারের পাছায় লাথি লাগাচ্ছে। এ হতে দেওয়া যায় না। এটা অন্যায়। এবার কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে কেরলে স্থানে স্থানে বিফ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তারপর আবার সেটার ভিডিও করে যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হয়। তার মতে, তাদের এই পদক্ষেপও ভুল। এটা প্রতিবাদের ধরন হতে পারে না। যদি কারোর কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়, নিজেদের অধিকারের দাবি জানাতে হয়, তবে অবশ্যই তারা সুপ্রিমকোর্টের দরজার কড়া নাড়তে পারে। তার মতে, এটাই হবে সঠিক পদক্ষেপ। এরকম প্রকাশ্যে বিফ ফেস্টিভ্যাল-টেস্টিব্যাল না করে এরকমই কিছু একটা করা উচিত।
এতে প্রচুর কমেন্ট আসে। কেউ কেউ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন। বলা বাহুল্য, এদের বেশির ভাগই মুসলমান ছেলেমেয়ে। কেউ কেউ আবার তার বক্তব্যকে খন্ডন করে তাকে যা নয় তা বলেন। বলা বাহুল্য, এরা প্রত্যেকেই হিন্দুধর্মের ধ্বজা বহনকারী ছেলেমেয়ে। এদিকে অবস্থার গতিপ্রকৃতি বুঝে, প্রকাশ্যে একটি বাছুর কেটে তার মাংস খাওয়ার ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয় তিন যুব কংগ্রেস কর্মীকে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধি ট্যুইটারে এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি লিখেন What happened in Kerala yesterday is thoughtless, barbaric & completely unacceptable to me & the Congress Party, I strongly condemn the incident এবং এর পরেই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূরজেওয়ালা বলেছেন, এই ধরনের কর্মীদের কংগ্রেসে কোনো স্থান নেই।
এবার আমরা অনেক আগেই যা বুঝেছিলাম, তাই করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের সঙ্গে ফের সঙ্ঘাতে জড়ালেন তিনি। মোদি সরকার যে নতুন গবাদি-নির্দেশিকা জারি করেছে, তা তাঁর রাজ্য মানবে না বলে ঘোষণা করলেন তিনি। একই সঙ্গে আইনি পথে কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি। গত সোমবার ২৯ মে নবান্নে এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন তিনি। সাংবাদিকদের সম্মুখে গবাদি-নির্দেশিকা জারি করার জন্য কেন্দ্রকে একহাত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে মমতা বলেন, কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকা একতরফা সিদ্ধান্ত। এটা রাজ্যের ক্ষমতা খর্বের চেষ্টা। এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও অনৈতিক। এটার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা কেন্দ্রের। আমরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মানব না। কোনোমতেই তা মানা হবে না। রাজ্য এই সিদ্ধান্তকে আইনি পথে মোকাবিলা করবে। আমরা সাংবিধানিক পথে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করব।
তাছাড়া, গোরক্ষার নামে হিংসা চালাচ্ছে কেন্দ্র-এমন অভিযোগও করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, কৃষকেরা গরু নিয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের খুন করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং আরও কিছু রাজ্যে প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটছে। তারপর তাঁর কটাক্ষ কেন্দ্র সরকার এরপর বলবে, মুরগির ডিম খাওয়া যাবে না। কে কী খাবে সেটা ঠিক করবে কেন্দ্র? কখনও মোদি সরকার গরুর কানে আধার কার্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তো কখনও গবাদি-নির্দেশিকা জারি করছে। তারপর তিনি বলেন, মানুষের সীমা লঙ্ঘন করে কোনো কাজ ঠিক নয়। আমি মনে করি, সব ধর্মের মানুষই সমান। আমার কাছে সব ধর্মের মানুষই সমান। তা ছাড়া, কেন্দ্রের গবাদি-নির্দেশিকা শিল্পক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে। শুধু গবাদি-নির্দেশিকাই নয়, সেদিন লালবাতি নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন ক্ষুব্ধ মমতা। তিনি বলেন লালবাতি লাগানো গাড়ি আমরা কেউ ব্যবহার করি না। লালবাতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে আপত্তি জানানো হয়েছিল। কারা লালবাতি ব্যবহার করবে, সেটা রাজ্যের ব্যাপার। কিন্তু আপত্তি জানানোর আগেই সিদ্ধান্ত পাশ করে কেন্দ্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত বাক্য ভারতের বর্তমান যা রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, তাতে মনে হয়, মমতা হলেন নরেন্দ্র মোদির সম্মুখে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্রের প্রতিটি ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ করছেন। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কংগ্রেস সরকারের ওপর থেকে মানুষের আস্থা অনেকটা কমেছে। আর বামেরা, জনসংযোগে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সাধারণ ভোটারদের কাছে আজ আর তারা পৌঁছতে পারছেন না। আর তাই তাদের ভোট অনেকটা কমেছে। বুদ্ধিজীবীদের মত হল, ভোট তখনই কমে, যখন কোনো দল সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর তারা আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই জনবিচ্ছিন্নতাই তাদের ভোট কমে যাওয়ার প্রধান কারণ। বামেদের মিছিলে কিছু কিছু লোক এলেও ভোট কিন্তু আজকাল আর আসে না। এই তো সেদিন নবান্ন অভিযানে নেমেছিল তারা। তাদের রণংদেহী রূপ পুলিশকে অনেক বেগ দিয়েছে। কিন্তু ভোটের বাক্সে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এজন্য তাদের গভীর কথন-চিন্তনের আবশ্যক।
আবার আসি মূল প্রসঙ্গে গোমাংস রফতানিকারক দেশ হিসাবে ভারত পৃথিবীর মধ্যে সর্বপ্রথম। গত ২০১১ সাল থেকে যা গড়ে ১৪ শতাংশ করে বেড়েছে। আমরা জানি যে, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু এবং অন্যান্য আরও কিছু রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ। কিছুদিন আগে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন যে, দেশজুড়ে আইন বানিয়ে গোমাংস বন্ধ করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে এই ক্ষমতা নেই যে, তারা সারাদেশে খাদ্য হিসাবে গোমাংস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এজন্য তাদের সাংবিধানের কিছু ধারায় বদল করতে হবে। তাই তারা একটা কাজই করতে পারে, কিছু কড়া আইন এবং অর্ডিন্যান্স। আর এতে কী হচ্ছে, গোমাংস নিষিদ্ধও হচ্ছে না, আর এ নিয়ে লড়াই অব্যাহত।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে কিন্তু গোমাংসের ব্যাপারে বিজেপির সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান। কেন এই দ্বিচারিতা? বলতে গেলে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে ভোটের জন্যই বিজেপির অবস্থান ভিন্ন। এখানে তাদের তরফ থেকে গোমাংস নিষিদ্ধের কোনো শ্লোগান নেই। কিছুদিন আগে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এক বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি গোমাংস খান, আর যদি কেউ পারে, তবে সেটা বন্ধ করে দেখাক। কিছুদিন আগে কেরলের মালাপ্পুরম লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শ্রীপ্রকাশ বলেন, যদি তিনি ভোটে জেতেন, তবে এলাকায় কোয়ালিটি বিফ খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। আবার কোন কোন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, গোমাংস খেলে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাইতো বলতে হয়, অন্যান্য সব দলের মতো বিজেপির গোমাংস ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। যেভাবে তারা রামমন্দির ইস্যু নিয়ে এতদিন ধরে রাজনীতি করে আসছে। আর এতে কী হচ্ছে ঘৃণা, ভেদাভেদ আর বৈষম্যের ত্রিশূল রাজনীতির জন্ম নিচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।