Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় স্বার্থে কুতুবদিয়া রক্ষায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪২ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো : জাতীয় স্বার্থে কুতুবদিয়া রক্ষায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কুতুবদিয়া সমিতি চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক ছিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপ সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে সমুদ্রের আঘাত এসে পড়বে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া ও মহেশখালীর ওপর। জাতীয় স্বার্থে কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন খ্যাত চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলসহ পুরো কক্সবাজার চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। লবণ, চিংড়ি ও মৎস্য উৎপাদন এবং পর্যটনের প্রধান অঞ্চলসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে রক্ষা করতে হলে কুতুবদিয়াকে অস্তিত্বের সংকট থেকে রক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, ৯৭ বর্গমালের কুতুবদিয়া সমুদ্রের অব্যাহত ভাঙনের কারণে ২৭ বর্গমাইলে এসে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হলেও অসাধু কর্মকর্তা ও দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারণে কুতুবদিয়া বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে। অতীতের লুটপাতের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, চলিত অর্থ বছরে একনেকে বরাদ্দকৃত টাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে বেড়িবাঁধ নিমার্ণের দাবি জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা কারো করুণা চাইনা, ত্রাণের দরকার নেই, আমরা চাই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দ্বীপের অবশিষ্ট ভূমি, মসজিদ-মন্দির, স্কুল, কলেজ, বাড়িঘর রক্ষা করা হউক। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার সাহায্য আসলে ওই টাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তা নির্মাণসহ সাইক্লোন সেন্টার করা হয়েছে রামুর পাহাড়ে। অথচ কুতুবদিয়ার জন্য আসা সাহায্য দ্বীপের জন্য যথাযথ ব্যবহার না করায় কুতুবদিয়ার মানুষকে বর্তমানে জোয়ার-ভাটার দোলাচলে বসবাস করতে হচ্ছে। এর থেকে কুতুবদিয়াবাসীকে বাঁচাতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে কক্সবাজারের মেরনি ড্রাইভের আদলে কুতুবদিয়ার চারপাশে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে বেড়িবাঁধ কাম চলাচলের রাস্তা নির্মাণসহ বেড়িবাঁধের নিরাপত্তার জন্য উপকূলীয় বনবিভাগের মাধ্যমে প্যারাবন সৃজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা শফিউল আলম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, সমিতির সভাপতি ডা. এ কে এম ফজলুল হক, শাহাজাদা মান্নান, মোজাম্মেল হক উপদেষ্টা এস, এইচ মোক্তার আহমদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ শরীফ, প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মামুন এলাহী, যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল খান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ