প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন রিপোর্ট: চলচ্চিত্র-নাটকসহ সংস্কৃতি অঙ্গণে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন চলছে। এই আগ্রাসন ঠেকাতে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। সম্প্রতি টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টর'স গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সঙ্গে এক যৌথ মতবিনিময় সভা করে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিবারের আহŸায়ক ফারুক। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, আমাদের সিনেমা এখন এক মহাসঙ্কটে পড়েছে। এ সঙ্কট থেকে দ্রæত বের হতে না পারলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এ অবস্থায় ডিরেক্টর্স গিল্ডসহ নাটকের অন্যান্য সংগঠন যে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ফারুক বলেন, আমরা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। চোখের সামনে আমাদের বাংলাদেশ লজ্জিত হয় এমন কিছু আমরা হতে দেবো না। আমাদের সিনেমার ওপর থেকে যতদিন বেনিয়াদের কালো থাবা না সরাতে পারব ততদিন রাজপথ ছাড়বো না। শিল্পী সমিতির সাধারণ স¤পাদক জায়েদ খান বলেন, আজ আমরা সবাই এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের এতদিন ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা যৌথ প্রযোজনার বিপক্ষে। অথচ আমরা আন্দোলন করেছি যৌথ প্রযোজনার নামে ভারতের লোকাল ছবি আমদানির বিপক্ষে। চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, টেলিভিশন মিডিয়া ও সিনেমার সমস্যা প্রায় এক। বিদেশি সিরিয়াল এনে ডাব করে টেলিভিশনে চালানো হয়, অন্যদিকে যৌথ প্রযোজনার নামে ভারতীয় সিনেমা এনে আমাদের সিনেমা শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। যেহেতু দুই ভাইয়ের সমস্যা এক সেহেতু দুই ভাই একসঙ্গেই যুদ্ধ করবে। ভাই ভাই যখন একত্রিত হয়েছে তখন কেউই আমাদের রুখতে পারবে না। আমরা বিজয়ী হবোই। টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ স¤পাদক ইরেশ যাকের বলেন, আমাদের দুপক্ষের সমস্যা একই। এটা রোধ করতে কিছুটা কৌশলী হতে হবে। বদলাতে হবে আমাদেরও। আমাদের সিনেমার মানেরও পরিবর্তন করতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে ভাবতে হবে। একটা জায়গায় বসে থাকলে হবে না। মানের দিক থেকেও এগোতে হবে। তা না হলে নাটক বলেন সিনেমা বলেন কিছুই বাঁচাতে পারবো না। ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি গাজী রাকায়েত বলেন, সরকারকে শিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সারা পৃথিবীর শিল্প সাহিত্যে সরকারের অবদান আছে। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাবো সারা বাংলাদেশে ৫০০ সিনেমা হল বানানোর জন্য। আর আমাদের সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে সংস্কৃতির পরিবেশ ঠিক করার জন্য। ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ স¤পাদক এস এ হক অলীক বলেন, আমরা চাই না আমাদের নাটক চলচ্চিত্র বেনিয়াদের হাতে চলে যাক। এজন্য আমাদের একত্রিত হওয়া। আমাদের এখানে ভালো সিনেমা হয় না বলে যে ধুয়ো তোলা হয়, এটা পরিকল্পিত। ওরা চায় না আমাদের সিনেমা টিকুক। আমরা যখন ৪ কে রেজুলেশনে সিনেমা বানাই তখন আমাদের সিনেমাটি এইচ ডি প্রজেক্টরে দেখানো হয়। তখন দর্শক ভাবে আমরা অযোগ্য। ৫০টি এইচডি প্রজেক্টর না এনে মিনিমাম ২ কে প্রজেক্টর বসানোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে তথ্য মন্ত্রণালয়কে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চিত্রপরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মোহাম্মদ হোসেন জেমি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, মামুনুর রশিদ ছাড়াও টেলিভিশন ও সিনেমার একঝাঁক অভিনেতা অভিনেত্রী, প্রযোজক ও পরিচালক। সভায় চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে টেলিভিশনের তিন সংগঠন প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টর'স গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ। শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম বলেন, চলচ্চিত্র-টিভি নাটকের কলাকুশলী মিলে প্রাথমিকভাবে একটি ঐক্যজোট গঠনের আলোচনা হয়েছে। নাম চলচ্চিত্র টেলিভিশন ঐক্যজোট। আশা করছি, শিগগিরই ফলপ্রসূ হবে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে, আইনবহির্ভ‚তভাবে যদি কিছু হয় তবে চলচ্চিত্রের সেই আন্দোলনের সাথে আমরা থাকবো। আর যদি বেআইনি কোনো আন্দোলন হয় তবে তার সঙ্গে আমরা থাকব না। নাসিম আরো বলেন, আমাদের নাটক-সিনেমা দুই জায়গায় মূল শক্তি হচ্ছে দর্শক। আমরা অভিনয় করি, নির্দেশনা দেই চলচ্চিত্রের মানুষরাও অভিনয় করেন, নির্দেশনা দেন। প্রযোজনা দুই জায়গাতেই এক। তাই আমাদের স্বার্থ এক। আমাদের দুই জায়গার দর্শক ধরে রাখতে হবে। এই ভাবনা থেকেই আমরা চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।