বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা : নুরুল আলম বাকু, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে ঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র শিল্পনগরী দর্শনা। জেলার বিভিন্ন শহরের মধ্যে নানাদিক দিয়ে দর্শনা পৌর শহরটি অত্যাধিক গুরুত্বপুর্ণ। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল ও ডিষ্টলারি কেরু এ্যান্ড কোম্পানী, আন্তর্জাতিক রেলবন্দর, কাস্টমস্ চেকপোষ্ট, পাইকারি কাঁচাবাজার, একটি সরকারী কলেজ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ডজনখানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, এনজিও অফিসসহ সরকারী বেসরকারী প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এই শহরের বাসস্ট্যান্ডের চৌরাস্তাটি চুয়াডাঙ্গা-কালিগঞ্জ ও ডিঙ্গেদহ-মুজিবনগর সড়কের সংযোগস্থল। এখানে একটি ট্রাফিক আইল্যান্ড রয়েছে। কোন ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় প্রায় দুই যুগ ধরে ট্রাফিক আইল্যান্ডটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ট্রাফিক আইল্যান্ডের চতুর্পাশে রাস্তা দিয়ে রাতদিন শত শত বাস, ট্রাক, ট্যাঙ্কলরি, ট্রাক্টর, মাক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মাটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান-রিকসাসহ পথচারী সেইসাথে বিভিন্ন মালামাল, গবাদিপশু ও যাত্রী বোঝাই শ্যালোইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন, আলমসাধু, লাটাহাম্বার নামক শত শত অবৈধযান চলাচল করে। এছাড়াও ট্রাফিক দিয়ে মুজিবনগর, কার্পাসডাঙ্গা ও দর্শনা শহর থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চিটাগাং, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী পরিবহনের শতাধিক বাস যাতায়াত করে থাকে। ট্রাফিক আইল্যান্ডে কোন পুলিশ না থাকায় যনবাহনগুলো যে যার ইচ্ছামত বেপোরোয়া গতিতে বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলের কারনে এখানে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। সেই সাথে পঙ্গুত্ববরণ করে ঘরে পড়ে রয়েছে অনেকে। অহরহ দূর্ঘটনার কারণে বাসষ্ট্যাÐে আসলেই জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এছাড়াও দর্শনা শহরের পুরাতন বাজারে ও রামনগর মোড়ে নতুনভাবে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দ’ুটি ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন করা হয়েছে। ট্রাফিক আইল্যান্ডগুলোতে কোন ট্রাাফিক পুলিশ না থাকায় দূর্ঘটনা ঘটছেই। এসব স্থলে যানবাহনের কোন নিয়ন্ত্রন না থাকায় ট্রাফিক আইল্যান্ডগুলো এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই আইল্যান্ডগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ দেওয়ার কথা বলা হয়। ক’দিন পার হলেই আর সে কথা মনে থাকে না কারোও। ফলে এসমস্ত আইল্যান্ডগুলো অরক্ষিতই রয়ে যায়। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ট্রাফিক আইল্যান্ডটি প্রায় দুই যুগ ধরে অবহেলিতভাবে পড়ে আছে। এখানে আজও পর্যন্ত সরকারীভাবে ট্রাফিক পুলিশ না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। সেইসাথে এলাকাবাসীর মনে সঞ্চার হচ্ছে চাপা ক্ষোভের। জনমনে প্রশ্ন, আর কত দূর্ঘটনা ঘটলে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব ট্রাফিক আইল্যান্ডে সরকারীভাবে ট্রাফিক পুলিশ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়দের দাবী, এসব স্থান দিয়ে চলাচলকারি যানবাহন ও পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের স্বার্থে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই জরুরি ভিত্তিতে এই ট্রাফিক আইল্যান্ডটিতে ট্রাফিক দেয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।