Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্লট পাবেন এমপিরা

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দশম সংসদের যেসব সদস্য সরকারি প্লট পাননি, তাঁদের প্লট দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এ জন্য কয়েকটি জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। সেখানে সাংসদদের প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। সরকারি দলের সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের অধীনে ২৭৮টি বাড়ি বেদখলে আছে। এসব বাড়ির বসবাসকারীরা বিভিন্ন আদালতে মামলা করে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। সরকারি দলের আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানোর লক্ষ্যে এবং বিল্ডিং কোড মেনে ইমারত নির্মাণের জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে একটি প্রাথমিক তালিকা করেছে। অপসারণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ১৩ এপ্রিল ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়ায় অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সিলেট মহানগরের চরম ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি ৩৩টি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের কৃষি জমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিকল্পিত আবাসিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি অন্যতম প্রধান কাজ। এ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এলক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্তমানে ২৩টি আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৪১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়াও ২৭টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি জানান, রাজউক কর্তৃক প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান (২০১২-২০১৫) ঢাকা শহরে যত্রতত্র বসতি স্থাপন ও অন্যান্য অকৃষি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিজমি দখলরোধে নির্দেশনা প্রদান করা আছে। কৃষিজমি রক্ষায় উক্ত মহাপরিকল্পনায় রাজউক আওতাধীন এলাকায় বিদ্যমান কৃষি জমি সমূহ সনাক্ত করা হয়েছে এবং ওই সকল জমিতে কৃষি বিষয়ক কর্মকাÐ ব্যতিরেকে অন্যান্য ভ‚মি ব্যবহার অনুমোদনযোগ্য নয় মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর কৃষি জমিসহ জলাশয়/জলাভ‚মি রক্ষায় ইতোমধ্যে সরকার একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ