রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোট এলে মেলে শুধু প্রতিশ্রæতির ফুলঝুড়ি
আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদের ৭টি গ্রামের প্রায় অন্তঃত ২০ হাজার অধিবাসী বঞ্চিত বিদ্যুতের আলো থেকে। ভোট এলেই এই সব গ্রামে সবাই নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের মৌলিক সমস্যা সমাধান করবো বলে প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচন গেলে আর স্মরণ থাকে অবহেলিত এই জনগোষ্ঠিত কথা। এমনটাই জানালেন গ্রামের খেটে খাওয়া অধিবাসীরা। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা এলাকার রহমতপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ এর ৪র্থ শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্র নুর হোসেন (১০) সন্ধ্যা বেলায় হারিকেন দিয়েই পড়ছিল নিজ ঘরে। সাথে বড় বোন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা (১২)। শিশুছাত্রী রোকসানা বলে জন্মের পর থেকে নিজের গ্রামে দেখেনি এখনো বিদ্যুতের আলো। বাবার সাথে অন্য গ্রামে বেড়াতে গেলে সেখানে বিদ্যুতের আলো দেখলে বাবার কাছে জানতে চায় আমাদের গ্রামে কি বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে না? বাবা উত্তর দিতে পারে না। শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে জানি না মা, তবে আসতে পারে কোন একদিন। গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি হাজী দুলাল চৌধুরী বলেন সৈয়দপুর, রহমতপুর, পশ্চিম সোনাই, ঝিলতলি, মরা কয়লা, তাকিয়াপাড়া, কয়লা এই ৭টি গ্রামের অন্তঃত ১০হাজার মানুষ এখানে বিদ্যুত নেই বলে অন্ধকারে কোনভাবে দিনাতিপাত করছে। কেউ হারিকেনের আলোতে কেই মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে। অনেক দরিদ্র পরিবার ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে পড়ালেখা চালাতে কষ্ট করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। জনৈক সিরাজ মিয়া বললেন ভোট এলেই প্রার্থীরা ও প্রার্থীর পক্ষের সবাই এই রাস্তা আর বিদ্যুতের কথা বলে প্রতিবার ভোট নেয়, কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলে আমাদের কষ্টের দিকে ফিরে তাকানোর সময় থাকে না কারো। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ মহিউদ্দিন বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুত বিভাগের কাছে ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছি। তবে সম্প্রতি আমাদের এলাকার অভিবাবক গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন এখন আর অপেক্ষা করতে হবে না শীঘ্রই সকল গ্রামে বিদ্যুত পৌঁছে যাবে। আমার এলাকার সকল ঘরে ও ১ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে আশা করছি। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুত সমিতির স্থানীয় ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে বলেন ইতিমধ্যে কিছু অংশে কাজ চলছে। অবশিষ্ট অংশ ও আগামী বছরের জুনের পূর্বে হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামি জুনের পর মীরসরাইয়ের কোন গ্রামই আর বিদ্যুতহীন থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।