Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দই তৈরি করে স্বাবলম্বী শতাধিক বেকার যুবক

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
ইচ্ছা আর আত্মবিশ^াসী পথ চলার বড় শক্তি। অসাধ্যকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন মোস্তাফা ও জরিপ শেখ। সাদুল্লাপুর উপজেলা সদর হইতে দেড় কিঃ মিঃ পশ্চিমে মাদারগঞ্জ সড়কে ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন শেখ দই তৈরীর কারখানা চালু রয়েছে। বিভিন্ন কোয়ালিটির দই সে মাটির তৈরী খুটিতে প্রক্রিয়াজাত করে প্যাকেট জাত করে অটো, সিএনজি, ভ্যান যোগে সুনামের সহিত বাজার জাত করে আসছেন। এছাড়াও দই জেলার বাহিরে পীরগঞ্জ, রংপুর সদর সহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দই তৈরীর মালিক জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামের আবু বক্কর শেখের দুই ছেলে মোস্তফা শেখ (৩০) ও ছোট ভাই জরিপ শেখ (২৭) অভাব অনটনের সংসারে খুব একটি পড়াশুনা করার সুযোগ পাননি। নিজ উদ্দ্যোগে এলাকার দুগ্ধ খামারীদের কাছ থেকে দুধ ক্রয় করে নিকটস্থ ব্র্যাক চিলিং সহ বিভিন্ন জায়গায় দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার গ্রামের ছোট-বড় খামারীরা উন্নত জাতের গাভী পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এবং কেবল মাত্র সুখের ছোয়া লাগাতে শুরু করেছে তাদের জীবনে। অনেক সময় খামারীরা পানি দামে দুধ বিক্রি করলে হঠাৎ তার মাথায় আসে স্থানীয়ভাবে দুধগুলো যদি সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ কেমিক্যাল মুক্ত দই, মিষ্টি, ঘি, মাখন ইত্যাদি তৈরী করা যায় তাহলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হবে এবং পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব। মোস্তাফা শেখ ও জরিপ শেখ দুই ভাই চিন্তা মাথায় রেখে হয়ে গত ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শেখ দই কারখানাটি। এই কারখানায় বর্তমানে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন। এই কারখানাটির দুগ্ধ খামারীর সংখ্যা প্রায় পনেরোশ’ জন। এসব খামারীর কাছ থেকে প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ হাজার লিটার দুধ ক্রয় করে কেমিক্যাল মুক্ত দই সহ বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন তৈরী করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানে যদি দুধ প্যাকেজিং করার উন্নত মেশিন সহজ সর্তে দেওয়া যেত তাহলে এই এলাকায় খামারীর সংখ্যা বাড়ত এবং ত্রিশ-চল্লিশ হাজার লিটার দুধ প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হতো। ছয়-সাত হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের পদ সৃষ্টি হবে। দই ক্রেতা, ইঞ্জিনিয়ার, আরিফ ও মোর্শেদ জানান, শেখ দইয়ের বিকল্প নেই। বাংলাদেশে যেহেতু ৭০ ভাগ শিশু খাদ্য বিশেষ করে দুধ বাহিরের দেশ থেকে আমদানী করতে হয় সেহেতু এলাকার খামারীদের যদি উৎসাহ উদ্দিপনা দেওয়া যায় তাহালে দুধের জন্য সম্ভবনাময় একটি এলাকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক দই এর পুষ্টির গুনাগুন সম্পর্কে বলেন, গরমের দিনে দই খুব উপকারী। এছাড়াও দইয়ে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় উপকারী ব্যাক্টোরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও মুখের রুচি বাড়ায়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ