Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খানাখন্দ ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলে যান

আনোয়ারার ছত্তারহাট-মালঘর বাজার আব্দুল করিম সড়ক

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ছত্তারহাট-মালঘর বাজার আব্দুল করিম সড়কের অবস্থা বেহাল। ছোট বড় অসংখ্য গর্তের কারণে সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগে। বর্তমানে ছোট যানবাহন চলাচলও বন্ধ হওয়ার পথে। জোয়ারের সময় অনেক স্থানে সড়কের চিহ্নটুকুও দেখা যায় না। ফলে চালকরা অনুমান নির্ভর করে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রেখেছে। ফলে অনেক সময় যাত্রীসহ যানবাহন উল্টে গিয়ে ছোট-বড় দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারের সময় ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে দ্রæত সড়কটির এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। বর্তমানে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এবং সওজের রশি টানাটানিতে সড়কটি সংস্কার করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। জানা যায়, পূর্ব আনোয়ারার ছত্তারহাট থেকে মালঘর বাজার পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটারের এ সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এটি দীর্ঘদিন থেকে ছত্তারহাট-জয়কালী বাজার সড়কের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়া সড়কটি ঘেঁষে মালঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালঘর আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, খাসখামা আমিরুল আউলিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, ভিংরোল জামেউল উলুম মাদ্রাসাসহ অসংখ্য শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সড়ক দিয়ে পূর্ব আনোয়ারার পরৈকোড়া ও হাইলধর ইউনিয়নের শত শত শিক্ষার্থী আনোয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ আনোয়ারা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে সড়কটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বর্ধিত ভাড়া এবং সময় অপচয়ের কারণে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বর্ণনাতীত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সূত্র আরো জানায়, এতদিন ছত্তারহাট-মালঘর বাজার আব্দুল করিম সড়কটি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে সংস্কার করা হতো। এক বছর আগে থেকে সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ তাদের বলে দাবি করে। ফলে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েও পিছিয়ে আসে। তারা সড়কটির মেরামতের চাহিদাপত্র তৈরি করেও তা বাতিল করে বলে জানা গেছে। এদিকে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কাছে সড়কটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে এতদিন কোনো উদ্যোগও নেয়নি তারা। ফলে আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এই সড়কের অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলেছে চলতি বাজেটের অর্থ বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারা সড়কটির মেরামতের কাজ করবে। উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান ইনকিলাবকে বলেন, এতদিন সড়কটি উপজেলা প্রকৌশল অফিস মেরামত করে আসছিল। এবারো আমরা সড়কটি সংস্কারের জন্য চাহিদাপত্র তৈরি করেছি। কিন্তু সওজ সার্ভে করে সড়কটি তাদের দাবি করায় আমরা আর অগ্রসর হইনি। দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে সড়ক মেরামতের কোনো বরাদ্দ নাই। চলতি বাজেটের অর্থ বরাদ্দ হলে দ্রæত সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ