Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাফনের ৩ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

রাজশাহী ‍ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ৩:৪৯ পিএম

দাফনের তিন মাস পর রাজশাহীর বাগমারায় ইফফেত আরা (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার লাশ তোলে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত ওই গৃহবধূর স্বজনরা জানান, দেড় বছর আগে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের রায়াপুর গ্রামের ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি এরশাদ আলীর সঙ্গে ইফফেতের বিয়ে হয়েছিল। এরশাদের দাবি অনুযায়ী, কয়েক দফায় সাত লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এরপর আরও যৌতুকের জন্য ইফফেতকে চাপ দিয়ে আসছিলেন তার স্বামী। স্বামীর পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছিল বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ এপ্রিল রাতে এরশাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ইফফেতকে পিটিয়ে আহত করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার ভাই মনিরুজ্জামানকে খবর দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই ইফফেতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ এপ্রিল ভোরে ইফফেত মারা যান। কিন্তু পুলিশকে না জানিয়ে লাশ দাফন করা হয়।

এ ঘটনার প্রায় দুই মাস পর গত ১৯ জুন তার ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে রাজশাহী চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এরশাদ আলী, তার ভাই জাহিদ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জাহিদ হোসেন নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

মনিরুজ্জামান বলেন, বোনকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তারা আগে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, তার বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। চাকরিতে যোগদানের আগেই হত্যার শিকার হন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ্র বলেন, রবিবার আদালত থেকে লাশ উত্তোলনের অনুমতি পাওয়া যায়। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বাগমারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ