Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ভাঙচুর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের অপসারণ দাবি

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের অপসারণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগের একাংশ গতকাল বুধবার মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করলে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালালে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের কুকরাইল এলাকার বাসা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর হয়। এতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও পুলিশ গতকাল বুধবারের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মুলকারণ হিসাবে জানান, গত ২ এপ্রিল দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী মোল্লা ও খোয়াজপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুন্সীসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হলে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজ গেটের সামনে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী মোল্লার শাস্তির দাবীতে এই মানববন্ধন করে। গতকাল বুধবার পাল্টা হিসাবে সকাল ১১টার ছাত্রলীগের অপরগ্রুপের কর্মীরা সদর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদের ব্যর্থতায় তার অপসারণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শহরের ইটেরপুল এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়। সেখানে মানববন্ধন শেষে সমাবেশে করে নেতা-কর্মীরা। এতে ছাত্রলীগের অপরগ্রুপ সমাবেশে হামলা চালায় । এতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে এলাকাটি রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। সংঘর্ষের ঘটনাটি মুর্হূতের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়লে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিরাজমান দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তোজনা সৃষ্টি হয়। এতে রাস্তা ও বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে বিক্ষুদ্ধরা। এতে অন্তত দু’গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বেশ কয়েকটি টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী থেমে থেমে সংঘর্ষে ইটেরপোল, জজ কোর্ট চত্ত¡র, নতুন শহর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের ছোট ভাই খালিদ হোসেন ইয়াদ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলূর রহমান শফিক খান সংঘর্ষের ঘটনার সুত্রপাত হিসাবে পরস্পরকে দায়ী করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানান, দুই জন হেবিওয়েট নেতার রাজনৈতিক দ্বন্ধ হওয়ায় আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে পারছি না। তবুও দুই গ্রুপের লোকজনকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ