পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : দেশের নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের নির্ধারিত ঠিকানায় যোগাযোগ করে নিয়মিত সাড়া পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য ‘ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির নাম চেয়েছে কমিশন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪০টি দলের নির্ধারিত ঠিকানায় যোগাযোগ করে নিয়মিত সাড়া না পাওয়ায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ইসি সংলাপ শুরু করছে তার আগে দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত সব দলের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে একজনের নাম, ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা চাওয়া হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেসব তথ্য ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করার প্রয়োজনে আপনার দলের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে (সভাপতি/প্রেসিডেন্ট/আমির/আহŸায়ক/চেয়ারম্যান অথবা সমপর্যায়ের পদাধিকারী এবং সাধারণ সম্পাদক/মহাসচিব/ সেক্রেটারি জেনারেল অথবা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর মধ্য থেকে যে কোনো একজন) একজনের নাম, ফোন নম্বর, মোবাইল নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর, ই-মেইল ও পত্র যোগাযোগের ঠিকানা সাত কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস, আইন সংস্কারসহ অন্তত সাতটি বিষয়ে আগামী ৩১ জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সব দলের হালনাগাদ তথ্য কমিশনের কাছে না থাকায় চিঠি দিয়ে ফোকাল পয়েন্ট খোঁজার এই উদ্যোগ।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে এসব দলের নির্ধারিত ঠিকানায় চিঠি দিয়ে তারা সাড়া পাননি। কয়েকটি দল আগের ঠিকানা বাদ দিয়ে এখন দলের চেয়ারম্যানের বাসার ঠিকানা ব্যবহার করছে। এছাড়া সব দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটি বহাল রয়েছে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত ঠিকভাবে পালন করছে তাও দেখা দরকার বলে কমিশনের কর্মকর্তারা মনে করছেন। ইসির কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী নতুন দলের কাছে নিবন্ধনের আবেদন চাওয়া হবে অক্টোবরে। পাশাপাশি নিবন্ধতি ৪০টি দল শর্তগুলো মেনে চলছে কি না তা নিরীক্ষা করা হবে। ইসির নিবন্ধন যাচাই কমিটি এ বিষয়ে কাজ করবে বলে কমিশনের একজন উপ-সচিব জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে দলের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে পুরনো দলগুলোর অবস্থা যাচাই করা হবে। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।
এনপিপির হালনাগাদ তথ্য চেয়ে চিঠি
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) নিবন্ধনের শর্ত পূরণের বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য চেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ইসি। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত গত রবিবার চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধন বিধির ৯ ধারা অনুসারে নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী শর্ত পূরণের হালনাগাদ তথ্য ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে। নিবন্ধন বিধিমালার ৯ ধারা অনুযায়ী, দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নতুন কমিটির সদস্যদের তালিকা ও সভার কার্যবিবরণী কমিশনে দাখিল করতে হবে। কমিশন সময়ে সময়ে যেসব তথ্য-দলিল চাইবে তা দেয়ার পাশাপাশি যেসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবে তা দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পর ২০০৮ সালে এনপিপি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।