Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেনেভায় গোলটেবিল বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ সফল বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ডিজিটাল মধ্য আয়ের বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩২ মিলিয়ন মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে, ইন্টারনেট ব্যবহার কারীর সংখ্যা এখন ৬৭ দশমিক ২৫ মিলিয়ন। এছাড়া মোবাইল ফোনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সেবা গ্রহন করছে। মন্ত্রী বলেন, বাংরাদেশে পাঁচ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশে এখন ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচশত-এর বেশি কোম্পানি অনলাইনে বাণিজ্য পরিচালনা করছে। সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে অন্যতম রপ্তানি খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকার যে সকল খাতকে রপ্তানিতে উৎসাহিত করছে, তার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি অন্যতম। এটি একটি সম্ভাবনাময় আইটি সেক্টরে রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ যুবশক্তি এ সেক্টরে দক্ষতা ও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
জেনেভায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী গত মঙ্গলবার রাতে ‘এইড ফর ট্রেড গেøাবাল রিভিউ-২০১৭ সম্মেলনের এইড ফর ট্রেড ইন এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক ঃ প্রোমটিং কানেকটিভিটি এন্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক রাউন্ড টেবিল সেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার কাজ সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন কাজের টেন্ডারের ৮০ ভাগ এখন অন-লাইন টেন্ডার পদ্ধতিতে হচ্ছে। পেপার লেস অফিস ব্যবস্থাপনার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোতে এ ধরনের কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনবল, অর্থ এবং কারিগরি সহযোগিতা। বিশে^ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদিত কাজের ৮০ ভাগ এখনো দেশের অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ। মাত্র ২০ ভাগ আন্তঃদেশীয় ভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে উন্নয়ন সহযোগিদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে বর্ডার টেরিফ, লজিস্টিকস, কাস্টমার সিকিউরিটি, সাইবার নিরাপত্তা, ট্যাক্স, ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম করণ ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে আন্তর্জাতিক ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ালে ই-কমার্স এর জনপ্রিয়তা দ্রত বৃদ্ধি করা সম্ভব। ২০০৬ সালে আইসিটি অ্যাক্ট, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটি ২০১০ করা হয়েছে, এছাড়া ২০১১ সালে আইসিটি রুল, আইসিটি পলিসি ২০১৫ করে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে সফলতার সাথে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নলেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বামবাং সুসানতনো এর সঞ্চালনায় এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ