Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গাবতলীতে দোকানে ভাঙচুর থানায় অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতাঃ বগুড়ার গাবতলী বাগবাড়ী বন্দরে ৩টি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেরামত কাজে বাঁধা ও ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগবাড়ী বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ১২বছর যাবত বাগবাড়ী বন্দর শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল জলিল মন্ডল প্রকৃত জমির মালিক মুঞ্জুরুল ইসলাম তালুকদারের নিকট থেকে চুক্তিভিক্তিক ৫শ টাকা ভাড়ায় ভ্যারাইটি দোকানে ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। একইভাবে তাঁর পার্শ্ববর্তী পানের দোকান দিয়ে একই এলাকার টগর ও টুকু মন্ডল দোকানে ব্যবসা চালাতো। কিন্তু মাঝে মধ্যে নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ তাদের নিজেস্ব জায়গা দাবী করে সে সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চালাতে বাঁধাদান ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে হুমকি দিয়ে আসছিল বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান। এর জেরধরে গত ৭জুলাই জলিল তাঁর দোকানের বারান্দা মেরামতের কাজ করছিল ও ৩টি দোকানে সামনের অংশে টিনসেট বারান্ধা দেওয়া হয়। এরপর ঐদিন নশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিন্টু জায়গাটি ইউপি’র দাবীকরে বারান্ধা পাঁকাকরণ ও মেরামত কাজে বাঁধাদিয়ে ভাংচুর করে ইট-বালু ও টিনসেট বারান্ধা ইউপি চত্তরে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন ইউপি পরিষদের বিষয়টি মিমাংশা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। তবে আজও সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে তাঁরা নিরাপত্তা’সহ চরম হতাশায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দোকানঘর ভাংচুরের ঘটনায় জমির মালিক মুঞ্জুরুল ইসলাম তালুকদার বাদী হয়ে নশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিন্টু’কে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ গাবতলী মডেল থানায় দায়ের করেছেন। মুঞ্জুরুল ইসলাম তালুকদার জানান, আমি জমির প্রকৃত মালিক হওয়ার পরেও ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আমাকে হয়রানী ও আমার জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। বাগবাড়ী বন্দর শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল জলিল মন্ডল জানান, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দোকানটি চুক্তি করে ভাড়ায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করে ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের কোন নোটিশ না দিয়ে নির্মান’সহ সংস্কার কাজে বাঁধা দিয়ে বারান্ধা ভাংচুর করেছে। এবিষয়ে নশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিন্টু জানান, উক্ত জমি নশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের। জমির কাগজপত্র’ই বলে দিবে জমির প্রকৃত মালিক কে। গাবতলী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল বাসার জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রকৃত জমির মালিক কে জানা যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ