পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান চরমপত্রের উপস্থাপক এম আর আকতার মুকুল, চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত, কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী ও ফকির আলমগীরসহ একাত্তরের ৫৮ জন শব্দ সৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী এবং মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের এই শব্দ সৈনিকদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সোমবার আদেশ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ১০৮ জন শব্দ সৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ২৫৩ জনকে এই স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাহজাবীন বেগম (কুইন), পরিতোষ কুমার সাহা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (অনু ইসলাম), মো. আজহারুল ইসলাম, মো. আবু নওশের, মরহুম সারোয়ার জাহান, মরহুম রেজওয়ানুল হক, আ ম শারফুজ্জামান, এ এম শফিউর রহমান (দুলু), মরহুম মো. হযরত আলী বয়াতী, মহিউদ্দিন আহমেদ, মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ ও মঞ্জুশ্রী নিয়োগী এবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। সুবল দত্ত, আমিনুর রহমান, মৃণাল ভট্টাচার্য, প্রবাল চৌধুরী, উমা খান, কল্যাণী ঘোষ, সুজিত রায়, একরামুল হক চৌধুরী, গীতশ্রী চৌধুরী, মরহুম শাহ সালাউদ্দিন সাজ্জাদ, হরেন্দ্র চন্দ্র লাহিড়ী, মিলন ভট্টাচার্য্য, অনামিকা নেওয়াজ (অনামিকা চাকলাদার), এস এম মহসিন, ছায়া রায়, গজেন্দ্র লাল রায়, জয়শ্রী চৌধুরী, মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, আবু বকর সিদ্দীক প্রধান, এস কে কে সিদ্দিক, মোজাম্মেল হক, সাজেদা খাতুন, খামিরুল ইসলাম প্রধান, আবুল কালাম আজাদ ও মরহুম মোশারফ হোসেন মশুর। এছাড়া ধীরেন্দ্র নাথ নমদাস, মরহুম শমসের আলী প্রধান, মালা খুররম, শিবু রায়, শুক্লা ভদ্র, এনামুল হক, মরহুম ফয়েজ আহমদ, নিরঞ্জন অধিকারী (সবুজ চক্রবতী), ফকির আলমগীর, মরহুম এম আর আকতার মুকুল, মরহুম জহুরুল হক, সুভাষ দত্ত, বেগম মুশতারি শফি, সুব্রত সেনগুপ্ত, চিত্তরঞ্জন ভুইয়া, মরহুম খন্দকার রাজু আহমেদ, তিমির নন্দী, ডা. দিলীপ কুমার ধর, বেগম ফিরোজা চৌধুরী ও মরহুম ম. মামুন। একাত্তরে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনায় এই শব্দ সৈনিকদের গড়ে তোলা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে নয়টি মাস প্রেরণা যুগিয়েছে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে দশজন সাহসী সৈনিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ৩০ মার্চ সেখান থেকেই প্রথমবারের মতো শোনা যায় ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়।’ ওইদিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় এ বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।