পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719533674](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় নিয়ে সংসদে বিচারাঙ্গন, প্রধান বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। একই সঙ্গে স্পিকারের কাছে ওই বক্তব্যের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্যদের এ দাবি জানানো হয়। সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সম্পাদক এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ সমিতির সদস্যরা ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই কর্মসূচির পরপরই সমিতির সহসভাপতি অজি উল্লাহর নেতৃত্বে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকান্ডের অভিযোগ তোলেন।
ষোড়শ সংবিধান অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গত রোববার সংসদে বিচার বিভাগ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। প্রধান বিচারপতি এবং এই মামলার অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালতের বন্ধু) মতামত নিয়েও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাতীয় পাটির সংসদ সদস্যরা। সংসদের বাইরে থাকা বিএনপি আদালতের ওই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন বলেন, সংসদ সদস্যরা সংসদ পরিচালনার বিধি-বিধান সম্ভবত ভুলে গিয়েছিলেন। যে ব্যক্তি তার সম্পর্কে সমালোচনার জবাব দিতে পারবে না, অর্থাৎ সংসদে উপস্থিত নেই, তার সম্পর্কে সংসদে কোনো আলোচনা করা যায় না। অথচ সংসদ সদস্যরা দুজন প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন, যা সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননার শামিল। এসব বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত, প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি ও দেশের সিনিয়র আইনজীবীদের সম্পর্কে সংসদে আপত্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এসব বক্তব্য প্রত্যাহার করতে স্পিকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই একই স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন সমিতির সহসভাপতি অজি উল্লাহ। তিনি বলেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন ছিল রাজনৈতিক আদর্শগত ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের কোনো স্বার্থ রক্ষা হয়নি, হবেও না। বরং তা বিচার বিভাগের সাথে সরকারের সম্পর্কের বিষয়ে জনগণের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করবে। তিনি আরো বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর মামলা চলাকালে এই সংশোধনীর বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, সংসদ বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেনি। রায়ের গঠনমূলক সমালোচনা কখনোই বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়। আর সংসদের ভেতরে আলোচিত কোনো বিষয় নিয়ে সমিতির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা রাজনেতিক উদ্দেশ্য হাসিল ছাড়া আর কিছুই নয়। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন এবং সংবাদ সম্মেলনে তাদের দেয়া বক্তব্য আইনজীবী সমিতির বক্তব্য নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।