বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : রায়পুরা উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার ইছাক মিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরন, দুর্ব্যবহার, শিক্ষক হয়রানীসহ ব্যপরোয়া ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোকন ভূইয়া নামে এক ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে এই মর্মে নরসিংদী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের (ডিপিইও) নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৩ মাস অতিক্রান্ত হলেও রহস্যজনক কারণে ডিপিইও তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সহকারী শিক্ষা অফিসার ইছাক মিয়া একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তার অমার্জিত আচরণ, শিক্ষক হয়রানী এবং বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষকদের নিকট থেকে অবাধে ঘুষ গ্রহণের কারণে রায়পুরা উপজেলার ৫নং ক্লাস্টারের শিক্ষক শিক্ষিকারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কোন শিক্ষক ছুটি নিতে আসলেই ইছাক মিয়াকে টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা ছাড়া তিনি শিক্ষকদের কোন কাগজে স্বাক্ষর করছেন না। ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট ১৪৩ নং লক্ষিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ডাক্তারের সনদসহ ছুটির দরখাস্ত করলে ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে তাকে ৭ আগস্ট থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি অনুমোদনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট সুপারিশ করেন। শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ছুটি ভোগ করে আসার পর তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইছাক মিয়া, শিক্ষিকা ফাতেমা বেগমের হাজিরা খাতায় ১১ দিন ছুটিজনিত অনুপস্থিতির স্থলে ফাতেমার নিয়ে তা অনুমোদন করেন। এই ঘটনা জানাজানি হবার পর সহকারী শিক্ষা অফিসার ইছাক মিয়া এব্যাপারে মুখ না খোলার জন্য কয়েকজন শিক্ষককে শাসিয়ে দেন। শুধু তাই নয় কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার ইছাক মিয়া কয়েকজন দালাল প্রকৃতির শিক্ষককে নিয়ে সবসময় অফিসে আড্ডা দেন। তিনি যেখানে যান ঐ সমস্ত দুর্নীতিবাজ কয়েকজন শিক্ষকও তাকে ছায়ার মত অনুসরন করে তার সাথে যাওয়া আসা করে। আর তাদের মাধ্যমেই ইছাক মিয়া শিক্ষকদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন। কোন শিক্ষক ছুটির জন্য এলে ছুটি অনুমোদনের পূর্বে তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। কোন বদলী বা কোন বিল ভাউচার করতে হলেও তাকে টাকা দিতে হয়। টাকা ছাড়া শিক্ষকদের কোন কাজই করেন না। এমনিভাবে বেপরোয়া ইছাক মিয়া ২ হাতে ঘুষ আদায় করছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। ৩ মাস পূর্বে নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও ডিপিইও মো: ফজলুল হক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। রহস্যজনক কারণে তিনি শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে ডিপিইও’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, তিনি প্রথমে অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেন। পরে আবার সম্বিত ফিরে এলে তিনি বলেন, ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কী ধরনের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।