বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে অবৈধ বসতিতে চরম ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। গতকাল (সোমবার) পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন। ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম নগরী ও আশেপাশের এলাকায় পাহাড় ধসে ১২৯ জনের মৃত্যুর পর শক্তিশালী পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। গত ১০ বছরে এ কমিটি ১৬টি সভায় মিলিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে কমিটির ১৭তম সভায় বিভাগীয় কমিশনার ‘পুর্নবাসনের’ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সাথে আলাপ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যারা পাহাড় থেকে উচ্ছেদ হবে তাদেরকে যাচাই-বাছাই করে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম- জেলার পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের যে তালিকা করেছে, সে তালিকা যাচাই-বাছাই করার পর পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করবে। আশা করছি, এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সমস্যা পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী উচ্ছেদ ও তাদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত যে সমস্যা তা সামধান হবে। সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাহাড়ের মালিক যেসব সংস্থা, উচ্ছেদের দায়িত্ব তাদের। তারা উচ্ছেদ করবে, প্রশাসন সহায়তা করবে। অপ্রিয় হলেও সত্য, অনেকসময় জেলা প্রশাসনের ওপর দায় চাপানো হয়। কিন্তু যেখানে যাদের মালিকানাধীন পাহাড় আছে, এ দায়িত্ব কিন্তু তাদের। রুহুল আমীন বলেন, তারা হয়ত অন্য একটি কোম্পানিকে সাবলিজ দিয়েছে। সেখানে তারা কি করছে না করছে দেখেও না। কিন্তু গোটা বিষয়টার দায়িত্ব মূল মালিকের। সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে দায়িত্ব পাহাড়ের মালিকের। সভায় পাহাড়ের মালিক বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভাগীয় কমিশনার।
তিনি বলেন, পাহাড়গুলোর ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বে আছে। সেসমস্ত সংস্থার যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন, তাদেরকে প্রেরণ করবেন। সভায় যারা আসেন তারা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তাদের কাছে কোনো তথ্য উপাত্ত নেই। অবৈধ বসতিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এসব সংযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লোকজন বারবার বিচ্ছিন্ন করে। আবার সেখানে মানুষ এসে অবৈধ সংযোগ নেয়। তাই সরকারি নীতিমালা অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নই। আইনকে প্রয়োগ করছি না বলে হয়ত অবৈধ সংযোগ নিতে সাহস পাচ্ছে।
সভায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল জলিল জানান, মহানগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ৬৮৪টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারে প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করছে। তারা বেশিরভাগ ফেনী, কুমিল্লা, ভোলা ও ল²ীপুর জেলার বাসিন্দা। দুইভাবে পুনর্বাসন হতে পারে। যারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা তাদের নিজ নিজ উপজেলায়। আর যারা ভিন্ন জেলার তাদের নিজ জেলায় অথবা নগরীর উপকণ্ঠে হাটহাজারী, সীতাকুন্ড, আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলায় পুনর্বাসন করা যায়।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইসরাত রেজা, নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউল হক ভূঁইয়া, সীতাকুন্ডের ইউএনও নাজমুল ইসলাম ভুঁইয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।