পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুই দশক আগে আলোচিত আনসার বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া ১ হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা আছে, তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে, তারা যতিদিন চাকরিতে ছিলেন, ততদিনের পেনশন সুবিধা তাদের দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের বেঞ্চ এই রায় দেয়। আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ২৮৯ জন আনসারের পক্ষে একই রায় দিয়েছিল হাই কোর্টের এই বেঞ্চ। ওই রায়ের পর ২৩ এপ্রিল পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন বিদ্রোহের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া চাকরিচ্যুত আনসাররা। একটি রিটে পক্ষভুক্ত হন ১ হাজার ৩৭৩ জন, আরেকটিতে ৭৪ জন। ওই দুটি রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে। আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় হল।
১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা ৩০ নভেম্বর বিদ্রোহের রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওই ঘটনার পর কিছু আনসার সদস্য পালিয়ে যান। পরে মোট দুই হাজার ৬৯৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে কিছু কর্মকর্তা চাকরিতে পুনর্বহাল হন। দুই হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সাতটি ফৌজদারি মামলা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।