Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঠ্য পুস্তকে আবার মুসলমানিত্ব ছাঁটাই এবং ভিন্ন সংস্কৃতি আমদানির পাঁয়তারা

| প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পাঠ্য পুস্তকে আবার মুসলমানিত্ব ছাঁটাই এবং ভিন্ন সংস্কৃতি আমদানির পাঁয়তারা

মোবায়েদুর রহমান : ধর্ম বিশ্বাসকে, বিশেষ করে পবিত্র ইসলামকে, কটাক্ষ করা এখন বাংলাদেশে এক শ্রেণীর তথাকথিত প্রগতিবাদী এবং মুক্তমনাদের ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪০ বছর ধরে লেখা লেখি করার পর আমার আত্ম উপলব্ধি হয়েছে যে, এরা প্রগতিবাদীও নয়, মুক্তমনাও নয়। এরা আসলে গ্রেট নাদান। এরা উট পাখির মতো বালির মধ্যে ঠোঁট ও চোখ গুঁজে রাখে। তাই বিপদের সময় বা ঝড়ের সময় এরা আশে পাশের কিছু দেখতে পায় না। বিশ্ব বরেণ্য লোকজন যখন ধর্মের তথা ইসলামের জয়গানই শুধু নয়, বরং তাদের সাফল্যের জন্য ইসলামের প্রতি তাদের নিজেদের কৃতজ্ঞতাঋণে আবদ্ধ করছে তখন এই সব আল্ট্রা সেক্যুলারিস্ট সমাজতন্ত্রের জয়গান এবং ইসলামের বিরোধীতার নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। এরা আসলে প্রগতিবাদী নয়, এরাই হলো চরম প্রতিক্রিয়াশীল। তাই এরা সময়ের ¯্রােতকে ধরতে পারে না। তাদেরকে বলি, আরে মিয়ারা, আপনারা কি ভারত তথা বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এ আর রহমানের চেয়েও বিখ্যাত? এ আর রহমানের চেয়েও বেশি প্রগতিবাদী? আসলে আপনারা এ আর রহমানের সাথে কোনোভাবেই তুলনার যোগ্য নন। তার পরেও দেখুন, ভারতের মতো একটি হিন্দু সাম্প্রদায়িক দেশে বাস করে এ আর রহমান কিরূপ নির্ভীক ভাবে ইসলামের প্রতি তার আনুগত্য এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান বলেছেন, মুসলিম ধর্ম বিশ্বাস তাকে তার ক্যারিয়ার সঠিকভাবে গঠনে দারুণ সাহায্য করেছে। লন্ডনে ‘গতকাল, আজ ও আগামীকাল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেন। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, জন্মসূত্রে তিনি মুসলমান নন। ২০ বছর বয়সে তিনি পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ আর রহমান বলেন, সহজ সরল জীবন যাপন ও মানবতার পক্ষে অবস্থান নেওয়াই ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস। ইসলামকে সাগরের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এ এক ভিন্ন জগত। সুফি ও দর্শনের ধারায় ইসলামের মর্মবাণীকে তিনি মানুষের প্রতি ভালবাসা হিসেবে অভিহিত করেন। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে তিনি বর্তমান অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছেন এবং তার পরিবার একই দর্শন অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, ইসলাম নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে, আমি মনে করি তা রাজনৈতিক কারণেই ঘটছে। এ আর রহমান বলেন, সুফীবাদ ইসলামের একটি অহিংস ধারা যা মানুষকে সন্মোহিত রীতির উপর ও ধর্মের রহস্যময় দিকটি উন্মোচন করতে আকৃষ্ট করে। তিনি লোককাহিনী, কবিতা ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে অবগাহনের কথাও জানান।
৫০ বছর বয়সী এই শিল্পী অস্কার ছাড়াও জার্মানির গোল্ডেন গেøাব এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ১৬০টি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র ‘¯øামডগ মিলিওনার’ ও বলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘লগান’ ও ‘তাল’ তার সঙ্গীতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গান গাওয়া ছাড়াও তিনি সঙ্গীত রচনা করেন, সুরারোপ করেন, আন্তর্জাতিক সঙ্গীতশিল্পী মিক জাগার, সারাহ ব্রাইটম্যান ও পিসাক্ট ডলসের সঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশনে অংশ নিয়েছেন।
অতি সংক্ষেপে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীতের এই যাদুকরের পরিচিতি ও সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। তার সাফল্যের বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গেলে একাধিক কলাম লিখতে হবে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন সেক্যুলারিস্ট এবং বাম ঘরানার তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর অবস্থা যেন ঐ প্রবাদ প্রবচনের মত। ঐ প্রবাদটি হলো,‘গন্ডুস জলের মধ্যে পুঁটি মাছ ফর ফরায়েতে’। অর্থাৎ অল্প পানির মধ্যে পুঁটি মাছ ফর ফর করে। এটিকেই সাধারণ মানুষ বলেন, ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী, কথায় কথায় ডিকশনারী’। আসলে আমার বিলম্বিত বোধোদয় এই যে, এদেশের এক শ্রেণির সেক্যুলারিস্ট এবং বামরা গভীর পানির মাছ নয়। এরা অল্প পানির মাছ। তাই ফর ফর করে বেশি। এ আর রহমান সাগরের গভীরতার মতো ইসলামের যে গভীরতায় ডুবে গেছেন সেই সাগরের বেলাভ‚মিতেও এই সেক্যুলারিস্ট এবং বামেরা পৌঁছতে পারে নি। তাই ওদের অনুরোধ করবো, এ আর রহমানের এই বক্তব্য ওরা রয়টার্স থেকে পড়ে নিক, অথবা ভারতের যে সব পত্রিকায় এটি ছাপা হয়েছে সেগুলো পড়ে নিক। তাতেও যদি ওদের জ্ঞান চক্ষুর উন্মীলন ঘটে।
\দুই\
শিক্ষা, বিশেষ করে সিলেবাসের মধ্যে, যে কমিউনিস্ট ভ‚ত ঢুকেছে সেগুলো আর সরকারের ঘাড় থেকে নামছে না। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সিলেবাসে মুসলমানিত্বকে মুসলমানি করে অনেক হিন্দুয়ানি ঢুকানো হয়েছিলো। হেফাজাতে ইসলাম, বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, আলেম ওলামা এবং ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষরা এর তীব্র বিরোধীতা করেন। শিক্ষা ব্যবস্থায় হিন্দুয়ানি আদর্শের ব্যাপক অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অনেক মিটিং মিছিল করতে হয় এবং অনেক লেখা লেখিও করতে হয়। তাতেও কিছু হয় না। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের পর কয়েকটি মুসলিম বিরোধী কবিতা বা প্রবন্ধ বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইসলাম ও মুসলিম ভাবাদর্শের যেসব কবিতা, গল্প বা প্রবন্ধ পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তার কিছু কিছু পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। আলেম ওলামাদের আন্দোলনও সাময়িক ভাবে থেমে যায়। আলেম-ওলামাদের একাংশ প্রকাশ্যে প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। যারা আওয়ামী লীগ বিরোধী তারা রাজনৈতিক কারণে প্রধান মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানাতে না পারলেও ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনায় বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী একটি ভাল কাজ করেছেন।
এর মধ্যে আসে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তির ইস্যুটি। এব্যাপারেও আন্দোলন হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে হেফাজাতে ইসলামে প্রধান আল্লামা শফি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একটি হলো, গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি অনেক দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়। আরেকটি হলো, কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে আরবিতে মাস্টার্স ডিগ্রির সম মর্যাদা দেওয়া হয়। এই দুটি সিদ্ধান্ত অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য। এখানেও ঐসব সেক্যুলারিস্ট এবং বাম পন্থীদের গাত্রদাহ শুরু হয়। প্রথমটি হলো, কেন প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামের সাথে বৈঠকে বসলেন? আরেকটি হলো, কেন তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হলো? গাত্রদাহ হওয়ার ফলে যারা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃদু সমালোচনা করেন তাদের মধ্যে ছিলেন তিন জন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, আপনারা যদি এই সিদ্ধান্ত পছন্দ না করেন তাহলে মন্ত্রী আছেন কেন? মন্ত্রীত্ব থেকে ইসতফা দিন। এর পর তারা খামোশ হয়ে যান।
\তিন\
মন্ত্রীরা খামোশ হলেও বাম এবং সেক্যুলাররা ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র ভেতরে ভেতরে জারি রাখে। পাঠ্যসূচিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিলো সেটি বাতিল এবং আগের হিন্দুয়ানি ঢুকানোর জন্য আবার চক্রান্ত শুরু করে। এই চক্রান্তের খবরটি জানা গেছে দৈনিক ‘প্রথম আলোর’ একটি রিপোর্ট থেকে। গত ৬ই জুলাই প্রকাশিত ঐ রিপোর্টের শিরোনাম হলো,‘পাঠ্য বইয়ে পরিবর্তন আসছে’। রিপোর্টে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী বাদ দেওয়া বিষয়গুলো আগের মতোই সংযোজনের প্রস্তাব করছে সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। ইতোমধ্যে ওই কমিটি প্রস্তাব চ‚ড়ান্ত করেছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, বইগুলো সুখপাঠ্য করার জন্য শিক্ষাবিদদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সুপারিশ পেয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম ও দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করে সহজ করা হচ্ছে। ১২টি বইয়ের মধ্যে বাংলা সাহিত্য বইটি পরিমার্জনের নেতৃত্বে আছেন শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের নেতৃত্বে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নেতৃত্বে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের নেতৃত্বে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম এবং গণিত, উচ্চতর গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান, এই ছয় বিষয় পরিমার্জনে নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ কায়কোবাদ। হিসাব বিজ্ঞানে অধ্যাপক মীজানুর রহমান ও অর্থনীতি বিষয়ে পরিমার্জনের নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক এম এম আকাশ।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাবিদেরা ইতিমধ্যে তাঁদের কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এ ব্যাপারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পাঠ্য বইয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল তা অনাবশ্যক। পাঠ্যবইয়ে কোনোভাবেই সা¤প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রবেশ করানো উচিত নয়।
\ চার \
কমিটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইয়ে হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী যেসব গল্প ও কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে, আগামী বছরের বইয়ে সেগুলো সংযোজন করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই শ্রেণিতে হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী পাঁচটি পদ্য বাদ দেওয়া হয়। সেগুলো হলো জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারত চন্দ্র রায় গুণাকরের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহর ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’। বাদ দেওয়া গদ্যটি হলো ভ্রমণকাহিনি ‘পালামৌ’। এসবের পরিবর্তে শাহ মুহম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, আলাওলের ‘হামদ’, আবদুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর ফারুক’ কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রথম আলোর রিপোর্ট মোতাবেক, অন্যান্য বই পরিমার্জনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষাবিদদের প্রায় সবাই বাংলা বইয়ের আগের বিষয়গুলো ফিরিয়ে আনার এই প্রস্তাবের পক্ষে। অর্থনীতির বই পরিমার্জনের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, তাঁরাও আশা করছেন হেফাজতের দাবি অনুযায়ী বাদ দেওয়া বিষয়গুলো পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় একই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আবুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের বিবেচনা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিতে। কিন্তু পাঠ্যবই হতে হবে আমাদের সংস্কৃতি, ভাষামূল্য ও সাহিত্যমূল্য আছে কি না তার ভিত্তিতে। আর এটি কেবল একটি-দুটি বইয়ের বেলায় করলেই হবে না, সব বই হতে হবে এই বিবেচনায়।’
প্রিয় দেশবাসী, পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাস নাকি পরিমার্জন করা হচ্ছে। পরিমার্জন কমিটিতে যারা আছেন তারা সকলেই আওয়ামী ও বাম ঘরানার লোক। এম এম আকাশ ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। এখন সিপিবি করেন। জাফর ইকবালের ইসলাম বিমুখতা সর্বজনবিদিত। মনজুরুল ইসলাম কট্টর আওয়ামী ও সেক্যুলার ঘরানার লোক। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর ইসলামের প্রতি এলার্জি রয়েছে। আব্দুল মোমেন একই ঘরানার লোক। এসব ব্যক্তি যে পাঠ্য পুস্তক থেকে মুসলমানিত্ব নির্বাসন দেবেন এবং হিন্দুয়ানি আমদানি করবেন সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশ আছে কি? কিন্তু নির্বাচনের মাত্র দেড় বছর আগে আবার এসব অপ্রীতিকর কাজ করলে তার প্রভাব যে ভোটের বাক্সে পড়বে না, তার কি গ্যারান্টি আছে?
[email protected]



 

Show all comments
  • নাসির উদ্দিন ১১ জুলাই, ২০১৭, ১:৩৪ এএম says : 0
    এই ধরনের কোন পাঁয়তারা সহ্য করা হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Hossain ১১ জুলাই, ২০১৭, ৯:২৮ এএম says : 0
    অবশ্যই না
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আব্দুল গাফফার ১৫ জুলাই, ২০১৭, ১১:০৮ এএম says : 0
    বাংলাদেশের 92 ভাগ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে সাহিত্য মিলে না সে রকম কোন সাহিত্যের সিলেবাস এদেশের মানুষ মেনে নিবে না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ