Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা ব্যারাজে পানি বিপদসীমার ওপরে

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ২:৫৩ পিএম

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।

লালমনিরহাট পাউবোর বন্যা তথ্য-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী রতন সরকার বলেন, আজ সোমবার সকাল ছয়টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১২টায় ওই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা তিনটায় আবারও পানিপ্রবাহ পরিমাপ করার কথা।

তিস্তা নদীর পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশীদ বলেন, তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার।

পাউবো কর্তৃপক্ষ জানায়, তিস্তা ব্যারাজের উজানে ভারতে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়ায় পানি মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান তিস্তাপাড়ের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে থাকতে অনুরোধ করেছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বন্যাকবলিত এলাকা মনিটরিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ তৎপরতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করার কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকা। যমুনা নদীতে দুই সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ সোমবার সকালে শাহজাদপুর উপজেলার জারাদহ, পোতিজিয়া, গালা, রূপকাটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম, সিরাজগঞ্জ সদরের কাউয়্যাখোলা, মেছলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম, কাজীপুর উপজেলার নাটোয়াপাড়া, চরগিরি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। এসব ইউনিয়নের কয়েক শ গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার পাটের জমি ও নার্সারি পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, উজানে বৃষ্টি হওয়ায় পানি বেড়েছে। পাউবোর সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ