Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে আ’লীগের দুই গ্রæপে সংঘর্ষে আহত ২৫

| প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্টপুর ইউনিয়নে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলা-পাল্টা হামলায় ২০টি বাড়ী, দোকান-পাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সদরপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন আগে কৃষ্টপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল ফকিরের এক কর্মীকে মারধোর করে আ’লীগ নেতা তিতাস মিয়ার সমর্থকেরা। এর জের ধরে তিতাসের কয়েক সমর্থককে মারপিট করা হয়। এ নিয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যান ও তিতাস মিয়ার সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ চলছিল। রোববার বেলা ১১টার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এসময় পার্শ্ববর্তী ডাংগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালামের কয়েকশ সমর্থক এবং শাহিন তালুকদারের সমর্থকেরা যোগ দেয় সংঘর্ষে। তিতাস বিশ্বাস ও আবুল কালামের কয়েকশ সমর্থক বিল্লাল ফকিরের সমর্থকদের বাড়ী ঘরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বিল্লাল ফকিরের সমর্থক ফাতু মাতুব্বর, আইয়ুব মেম্বার, ইশারত মাতুব্বর, সৈয়দ মাতুব্বর, আবু বকর, বজলু ও ইছা মাতুব্বরের বাড়ী ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
অন্যদিকে তিতাসের পক্ষের সমর্থক হিসাবে পরিচিত নয়াকান্দি গ্রামের মোস্তফা ফরাজী, আরিফ ফকির, শেখ ধুনা, শেখ রিজুর বাড়ী, দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের সদরপুর, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হারুন, মাজেদ ও ওয়াজেদ শেখ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ঘটনাস্থলে ফরিদপুর থেকে র‌্যাবের একটি টিম ও সদরপুর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উভয় গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিতাস মিয়ার ভাই বাকি মিয়া জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান বৈঠক করে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। কৃষ্টপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকির বলেন, তিতাস ও তার সমর্থকেরা গ্রামে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বাড়ী ভাংচুর, মারপিট করে আসছে। সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ