পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীদের হাতে নির্যাতিত আরও ১৫ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এ উদ্যোগ নেয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ১৮৫ জন বীরঙ্গনাকে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ হল।
রংপুর সদরের রূপালী রানী সিংহ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মর্জিনা বেগম, বাগেরহাটের মোড়েল গঞ্জের মমতাজ বেগম এবং সাতক্ষীরার দেবহটার প্রভা রানী ঘোষ এবার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বরিশালের আগৈলঝাড়ার মোসাম্মৎ মমতাজ বেগম, কিশোরগঞ্জের নিকলীর রেহেনা খাতুন (মৃত) এবং লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার মমেনা, মোছাম্মৎ খতিনা বেগম ও মোছাম্মৎ সালেহা বেগমও পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।
এছাড়া শরিয়তপুরের গোসাইরহাটের ভানু বিবি এবং জামালপুরের ইসলামপুরের মোসাম্মৎ রংমালা খাতুন, রাবেয়া বেগম, মোছাম্মৎ সামছুন্নাহার, ছকিনা বেগম ও মোছাম্মৎ শেফালী বেগমকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় সে সময় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজও শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আগ পর্যন্ত চলছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরুহয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে আদালতেরও নির্দেশনা আসে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।