Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএডিসি ডিলারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বীজধানের কৃত্তিম সংকট

| প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী ) উপজেলা সংবাদদাতা : বীজ ধানের কৃত্তিম সংকট দেখিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) বিএডিসির অনুমোদিত ডিলারদের বিরুদ্ধে বীজধান বিক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিলারদের দাবী জেলা অফিস থেকে চাহিদা অনুযায়ী বীজ না পাওয়ার কারণে অতিরিক্ত দাম দিয়ে অন্য জেলা থেকে বেশি দামে সংগ্রহ করার জন্যই নির্দিষ্ট দামের চেয়ে বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। আর কৃষকদের অভিযোগ, ডিলারদের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা একটি সিন্ডিগেট তৈরী করে কৃত্তিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, বাউফলে প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টর জমির জন্য ৫০ টন আমন বীজের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল। বাকি জমির জন্য স্থানীয় জাতের উচ্চফলনশীল বীজ কৃষক সংগ্রহে থাকে। কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার জামান জানান, উপজেলার চাহিদা মোতাবেক বিএডিসির ডিলাররা ঠিক কী পরিমাণ বীজ সংগ্রহ করতে পেরেছেন তার কোন হিসেব তারা দেননা। বিএডিসি তাদের আওয়তাধীন না হওয়ায় তাদের কোন তথ্যই আমাদেরকে জানান না। এ সমন্বয় হীনতার কারনেই বীজ বিক্রয়ের সময়টা বিসৃঙ্খলা দেখা দেয়। কৃষকরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বীজ সংগ্রহ করেন।
বাউফলের কালিশুরী বন্দরে বিএডিসির ডিলার কবীর দুয়ারী জানান, জেলা থেকে বীজ সরবরাহ করতে না পারায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ বীজ ভান্ডার থেকে প্রতি বস্তা ৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকায় ক্রয় করে এনে কৃষকদের চাহিদা মেটাচ্ছি। কালাইয়া বন্দরের হাজী এন্ড সন্স নামক বিএডিসির ডিলার হাজী আবুল কালাম ও কালাইয়া বীজ ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী বিএডিসির ডিলার আ. ছালম মিয়া জানান, তারা পটুয়াখালীর কৃষিঘর নামক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবস্তা ৬০০ টাকা দরে কিনে এনে বিক্রি করতেছেন। এদিকে বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় শেষ হতে থাকায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে ৩৫০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় প্রতিবস্তা বীজ সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসুযোগে ডিলার না হয়েও কিছু মৌসুমী ব্যাবসায়িরাও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বীজ কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাউফলের কৃষক ফোরকান আকন, ছালাম বিশ^াস, জামাল আকন, তোফায়েল মিয়া, ফরিদ হোসেন, মজিবুলসহ বহু কৃষক জানান, বীজ বপনের সময় শেষ হতে থাকায় বাধ্য হয়ে তারা দ্বিগুণ তিনগুণ দাম দিয়ে বীজ ক্রয় করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ