Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পবিত্র কুরআন অবমাননায় এলাকায় উত্তেজনা

| প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর মরুয়াদহ গ্রামে পবিত্র কুরআন শরীফ ছুড়ে ফেলে অবমাননা করায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের আঃ খালেক কসাইয়ের কন্যার সাথে পাশ^বর্তী খামার পাঁচগাছি গ্রামের সুলতান মাহমুদের পুত্র সুরুজ মিয়ার দীর্ঘ ৩/৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ও মন দেয়া-নেয়া চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ৪ জুলাই রাত ৯ টার দিকে সুরুজ মিয়া খালেক কসাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তার কন্যার সাথে নষ্টি-ফষ্টি করার সময় বাড়ির লোকজন সুরুজ মিয়াকে আটক করে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এঘটনায় পরদিন ৫ জুলাই রাত ৯ টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে স্থানীয় আবু সামা মিস্ত্রির বাড়িতে গ্রাম্য শালিস বসে। শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ছেলে পক্ষের ২ জন, মেয়ে পক্ষের ২ জন ও স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষে ৩ জনসহ মোট ৭ জন খালেকের ঘরে আটক সুরুজ মিয়ার কাছে যায়। সেখানে খালেকের কন্যা শালিসিয়ানদের জানায় সুরুজ আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে মেলামেশা করে আসছে। কিন্তু সুরুজ মিয়া প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করলে মেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘরে থাকা একটি পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে তার হাতে দিয়ে কুরআন শরীফ স্পর্শ করে সত্য কথা বলতে বলে। এসময় সুরুজ মিয়া পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে কিছু না বলে দূরে ছুড়ে ফেলে দিলে শালিসের লোকজন ফিরে যায়। শালিসিয়ানদের মুখে কুরআন শরীফ ছুড়ে ফেলার কথা শুনে ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া শালিস ভেঙ্গে দেয়। বিষয়টি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শালিস ভেঙ্গে গেলে কোন উপায় না পেয়ে রাতেই পুলিশের হাতে ছেলেকে তুলে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ আসার কথা শুনেই ছেলে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পরদিনও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী শোভাগঞ্জ বাজারে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিলে কোন প্রকার দূর্ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এব্যাপারে শালিসে থাকা ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া জানান, শালিসের লোকজনের সামনে পবিত্র কুরআন শরিফ অবমাননা করার কথা শুনে শালিস ভেঙ্গে দেয়া হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে পবিত্র কুরআন অবমাননাকারীর শাস্তির দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ