পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে প্রায় দশ দিন রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে মানুষের ভিড় কম ছিল। আবার জমতে শুরু করেছে বাজার। গত সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে ভিড় কিছুটা কম হলেও গতকাল বাজার ছিল জমজমাট। এতে করে সকল সবজির দাম বাড়তি দামে বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ১০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে মুরগি।
রমজানের দুই মাস আগে থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে কয়েক দফায় সবজির দাম বেড়েছিল। ঈদের আগেও পণ্যের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের বাজারেও সবকিছুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি দাম ১০ টাকা বেড়েছে। লেয়ার মুরগি ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি পিস ৪০০ টাকা; পাকিস্থানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া গতকাল বাজারে কেজিপ্রতি লবণ ৪২ টাকা; দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা; ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা; দেশি রসুন ১০৫ টাকা; ভারতীয় রসুন ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১২০ টাকা; শুকনা মরিচের দাম ১৮০ টাকা; আলু ২৩ টাকা এবং হলুদ ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় এই দামে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এতে দেখা গেছে, দেশি রসুনের দাম ১১০ টাকা; আমদানি করা রসুনের দাম মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা; পেঁয়াজ মানভেদে ২২-৩২ টাকা; ছোলা ৭৮-৮৫ টাকা; মুগ ডলা ১১০-১৩৫ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা; দেশি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ছোলা ৮৫ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের ভোজ্য তেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা; প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা; চীনের আদা ১২০ টাকা এবং ক্যারালা আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা; শশা ৫০ টাকা; চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা; কচুর লতি ৬০ টাকা; পটল ৬০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৬০ টাকা; করলা ৫০ টাকা; কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, পারিজা চাল ৪৬ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৬০ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৭ টাকা, বিআর ২৮ ৫০-৫২ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫৪ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা, পাইজাম চাল ৫০-৫২ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০(পুরাতন), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা। এছাড়া হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ টাকা; খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।