Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমার পক্ষে কথা বললেন কাজী হায়াত!

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: বর্তমানে যৌথ প্রযোজনার নামে যেসব সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, সেগুলোকে চলচ্চিত্রের পরিচালক ও শিল্পী সমিতিসহ চৌদ্দটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যজোট ‘যৌথ প্রতারণা’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এ নিয়ে তারা আন্দোলন-সংগ্রামও করছেন। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত বস টু ও নবাব যাতে মুক্তি না পায় সরকারের কাছে এ আহŸানও জানায় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত সিনেমা দুটি মুক্তি দেয়া হয়। এ নিয়ে ঐক্যজোটের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো যখন চলতি যৌথ প্রযোজনার সিনেমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তখন চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত এর পক্ষে কথা বলছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, বর্তমান সরকার যৌথ প্রযোজনার জন্য যে পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করে করেছে তা আগের কোনো সরকার করেনি। এ ধরনের সিনেমা নির্মানে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি কাজ করছে। কমিটি চিত্রনাট্য, কলাকুশলীর সংখ্যাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেওয়ার পরই কেবল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা যায়। এরপর যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে আবারো এ প্রিভিউ কমিটির কাছে জমা দিতে হয়। প্রিভিউ কমিটি ফের নির্মিত চলচ্চিত্রটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কি-না, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিলেই নির্মাতা বা প্রযোজক তা সেন্সর সনদের জন্য বোর্ডে জমা দেন। তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মতা বলেন, কাজী হায়াত তার নিজস্ব সুবিধার কথা বিবেচনা করে কথা বলছেন। তিনি যে নীতিমালার কথা বলছেন, তা ঠিকই আছে। তবে এ নীতিমালা অনুযায়ী সিনেমা নির্মিত হয় না বলেই আমরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। নীতিমালা অনুযায়ী যদি নির্মিত হতো, তবে আমরা স্বাগত জানাতাম। সমস্যা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুবিধার কথা বিবেচনা করে তার মতো একজন নির্মাতার পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া সঠিক হয়নি। তিনি যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণার সিনেমা নির্মাণের প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি সিনেমা পরিচালনা করবেন। প্রতিষ্ঠানটি তাকে এ সুযোগ দিয়েছে। আবার সাফটা চুক্তির আওতায় কলকাতায় তার ছেলে কাজী মারুফ অভিনীত মাস্তানি সিনেমাটি রপ্তানি হচ্ছে। এসব ব্যক্তিগত সুযোগ-সবিধার কথা বিবেচনা করেই তিনি যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণার পক্ষে কথা বলছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, চলচ্চিত্রের সিংহভাগ মানুষ কি না বুঝেই যৌথ প্রতারণার সিনেমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে? চলচ্চিত্র কি কেবল তিনি একাই বোঝেন? যারা আন্দোলন করছে, তারা কি বোঝেন না? শুধু ব্যক্তিগত সুবিধার কথা বিবেচনা করে তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমার পক্ষে কথা বলা খুবই দুঃখজনক।



 

Show all comments
  • আরাফাত ৮ জুলাই, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম says : 0
    সবাই যৌথ প্রযোজনার পক্ষে তবে সেটা হতে হবে নীতিমালা মেনে।
    Total Reply(0) Reply
  • আমিনুল ইসলাম ৮ জুলাই, ২০১৭, ১:৫২ পিএম says : 0
    ভালো সিনেমা আমরা সবাই চাই। যারা আন্দোলন করে তারাও চায় । কিন্তু সেটা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Fahad ৮ জুলাই, ২০১৭, ১:৫৩ পিএম says : 0
    শুধু ব্যক্তিগত সুবিধার কথা বিবেচনা করে তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমার পক্ষে কথা বলা খুবই দুঃখজনক।
    Total Reply(0) Reply
  • রেজবুল হক ৮ জুলাই, ২০১৭, ১:৫৪ পিএম says : 0
    এই বিভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করা খুবই জরুরী।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ৮ জুলাই, ২০১৭, ১:৫৫ পিএম says : 0
    এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র যে কোথায় যাবে তা আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ