Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংবিধান কি জনগণের জন্য বোঝা?

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তৈমূর আলম খন্দকার : সরকারি দল গলা উঁচিয়ে বলছে, দেশে চলছে অবাধ গণতন্ত্র। ভুক্তভোগীরা মনে করে, দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে সরকার গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করে একদলীয় স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। দেশের বুদ্ধিজীবী বা সুশীল সমাজ এ বিষয়ে জোরালো কোনো মন্তব্য করছে না, হাতেগোনা দু/একজন ছাড়া; যারা বাম ঘেঁষা বা কোলকাতামনষ্ক নয়। দেশের নাগরিক সমাজের ভাবখানা এই যে, যদি তাদের ‘নিরপেক্ষতা’ নষ্ট হয়ে যায় তবে তারা আর সুশীল বুদ্ধিজীবী থাকবেন না। তাই দেশের কণ্টকময় মুহুর্তে তারাও নিশ্চুপ এই জন্য যে, তারা মনে করেন, ঝুঁকি নিয়ে লাভ কি এবং তারা এও মনে করেন যে, ক্ষমতা ভোগ করবে রাজনৈতিক নেতারা তাই ঝামেলায় জড়ানোর দরকার নেই। নিরপেক্ষ নাগরিক সম্পর্কে মার্টিন লুথার কিং বলেছেন যে, The hotest place in hell is reserved for thouse who remain neutral in times of great Moral conflict. . অর্থাৎ ‘কোনো বড় নৈতিক সংগ্রামের সময় যারা নিরপেক্ষ থাকে, তাদের স্থান হবে দোজখের সবচেয়ে গরম অংশে’। উচ্চপদস্থ আমলারা বোঝে প্রমোশন, লোভনীয় পোস্টিং এবং পাহাড়সম সম্পদের মালিকানা। যারা দুদক নামক একটি ‘নিরপেক্ষ’ ব্যানারে প্রতিষ্ঠিত সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানটির ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দেশে এখন চরম কণ্টকপূর্ণ মুহুর্ত চলছে; যা শুরু হয়েছিল ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের একতরফা, একদলীয় ও ভোটারবিহীন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। একদিকে জাতীয় সংসদের আয়ুষ্কাল যেমনি ঘনিয়ে আসছে; তেমনি অন্যদিকে জনগণের মনে উৎকন্ঠা ধীরে ধীরে দানা বাধছে। জনগণ মনে করে, আবারো জাতি আরেকটি একদলীয়, একতরফা ভোটবিহীন জাতীয় সংসদ তথা অনির্বাচিত সরকারের সম্মুখীন হতে পারে? এই উৎকণ্ঠা আরো দৃঢ়তর হচ্ছে যখন সরকার দল বলছে, সংবিধান মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট করে বলেছেন যে, শেখ হাসিনাই হবে সহায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী। যদি শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হয় এবং সে নির্বাচনে যদি ২০ দল অংশগ্রহণ করে তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নিল না কেন? যখন এ প্রশ্নের অবতারণা হবে তখন সরকারি দল বজ্রকণ্ঠেই বলবে যে, সে সময় তাদের সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল। কিন্তু একতরফাভাবে আওয়ামী লীগ ও বামদের মাঠ ছেড়ে দেয়া কোনো কারণেই সমীচীন হবে কি? এসব প্রশ্ন এখন জনগণের সামনে। জাতীয় নির্বাচনের আরো দেড় বছর বাকী থাকলেও সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেয়ার এখনই সময়।
বিগত ইতিহাস পর্যালোচনায় এটাই প্রতিয়মান হয়, রাজপথ যার রাজনীতি তথা নির্বাচন তথা ক্ষমতা তার। বন্দুকের নল অথবা রাজপথই এ দেশে ক্ষমতার উৎস। সহায়ক সরকার হোক বা তত্ত¡াবধায়ক সরকার হোক বা ১/১১ সরকারের মত একটি আজব সরকারের পুনরুত্থান হোক যারা রাজপথ দখল রাখতে পারবে তাদের পক্ষেই সম্ভব হবে কেন্দ্র দখলে রাখা। কেন্দ্র দখল বলতে ভোট কেন্দ্র লুট বা জোর করে সিল মারার ঘটনাকে বুঝানো হয়নি। ‘কেন্দ্র দখল’ মানে কেন্দ্র যাতে প্রতিপক্ষ লুট করতে না পারে তাকে বুঝানো হয়েছে। বাস্তবতা এই যে, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের পূর্বে কোনো সময়ই ‘স্বাধীন’ ছিল না অর্থাৎ বাঙালিরা বাংলাদেশ শাসন করেনি একমাত্র চন্দ্র বংশীয় রাজা ছাড়া যারা ছিল বাঙালি। ২ জুলাই ২০১৭ নবাব সিরাজদৌল্লার ২৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই চলে গেল; তিনি কি বাঙালি ছিলেন? তার পুরো নাম ছিল নবাব মনসুর-উল-মুলক মির্জা মোহাম্মদ শাহ কুলি খান সিরাজদৌল্লাহ জঙ্গ বাহাদুর। পাল বংশ, সেন বংশ, মোগল, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি প্রভৃতি শাসনকর্তা যারা যুগ যুগ বাংলাদেশকে শাসন করেছেন তারা কেউই বাঙালি ছিল না। পাল রাজাদের (বৌদ্ধ) আগমন উত্তর ভারত থেকে, সেনদের (হিন্দু) আগমন কর্ণাটক থেকে। খিলজি (মুসলমান) আগমন আফগান থেকে। তবে ইংরেজদের শাসন আমলই ছিল দীর্ঘস্থায়ী; যা ছিল পৌনে দুইশ বছর। এ থেকে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় যে, ১৯৭১ সালের পূর্বে চন্দ্র বংশীয় রাজা ছাড়া কোন বাঙালি বাংলাদেশ শাসন করেনি। ফলে বাঙালি সব সময় প্রতিবাদমুখর হওয়ার কোনো ঐতিহাসিক দলিল বিদ্যমা নেই। যেমনটি হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবীতে, মুক্তিযুদ্ধের সময়, নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে প্রভৃতি বিশেষ ঐতিহাসিক বিষয় ছাড়া একমঞ্চে দাঁড়ানোর ইতিহাস খুবই বিরল। তবে এ জাতি যখন প্রতিবাদমুখর হয় তখন কোন বাধাই তাকে দমাতে পারে না। তাছাড়া শাসক শ্রেণী দ্বারা এ জাতি প্রতারিত হয়েছে বারবার। জাতিকে আবারো বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ বলে। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের গরিব দিন দিন গরিব হচ্ছে এবং ধনী পরিবারগুলি আরো ধনী হচ্ছে। যার ৫ বিঘা জমি ছিল সে হয়েছে নিঃস্ব এবং যার ১০০ বিঘা জমি ছিল সে হয়েছে ৫০০ বিঘা জমির মালিক। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যানুযায়ী ২২,৩০,০০০ জন নরনারী বস্তিতে বসবাস করে। ফলে গোটা সম্পদের গড়পড়তা হিসাব ধরে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ বলা যাবে না। ২০১৭-১৮ সালের বাজেট অনুযায়ী একজন শিশু ৪৬,১৭৭ টাকা ঋণ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পরিবার এখনো দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে। রেল লাইনের ধারে গড়ে উঠা বস্তিতে বসবাসকারী পরিবারগুলি কি সরকারের মধ্যম আয়ের দেশের সীমানা বহির্ভূত? এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে যাদের ভিটেমাটি ছিল তারা এখন দিনমজুর হিসেবে কাজ করার জন্য রাজধানীতে চলে আসছে। ড. আকবর আলী খানের দেয়া তথ্য মতে, দেশের ২২-৪৫% মানুষ এখনো বেকার। ধনীক শ্রেণী দ্বারা বাংলাদেশের ব্যাংক যেভাবে লুট হয়েছে পৃথিবীর অন্যকোন দেশে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। যে দেশে একজন শিশু ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে সে দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ কীভাবে বানানো যাবে? যদি হয় তবে ভালো কথা; কিন্তু নমুনায় তা বোঝা যায় না। এ দেশে প্রত্যেকেই ক্ষমতায় বসে প্রতিপক্ষকে কীভাবে দমানো যায় তার জন্য উঠেপড়ে লাগে নানাবিদ আইন পাশ করার জন্য; যে কারণে জাতীয় সংসদ এখন কঠিন কঠিন আইন প্রণয়নের একটি ফ্যাক্টরি মাত্র। কিন্তু সে আইনই সময়ের বিবর্তনে আইন প্রণয়নকারীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়! বিচিত্র এই দেশ, যার রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জয়করার দীর্ঘ ইতিহাস। তাই সমাধানের জন্য আমি আশাহত না হয়ে আশ্বস্থ রয়েছি; তবে আশঙ্কায় রয়েছি রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের নায়ক চার্চিল তার লেখা A RIDDLE WRAPPED INSIDE AN EMIGMA বইতে এ দেশ সম্পর্কে লিখেছেন ‘এক অদ্ভুত দেশ, অদ্ভুত এখানকার মানুষ। এ দেশে বিশ্বাসঘাতক উর্মিচাদ, রায় দুর্লভ, জগৎশেঠ, মীরজাফরদের যেমন কোনো অভাব নেই, তেমনি মীর মদন, মোহন লালের মতো প্রকৃত দেশপ্রেমিকদেরও কোনো ঘাটতি নেই। এখানে কে কখন জাতীয়তাবাদী, কে কখন দেশদ্রোহী, কে কখন মিত্র, কে কখন শত্রু তা বোঝা বড় কঠিন। তারপরও আপন ভুবনে প্রতিটি সৃষ্টিশীল প্রকৃত দেশ প্রেমিকেরা বেঁচে থাকেন, বেঁচে আছেন যুগ যুগান্তরে মানুষের হৃদয়ে।’
সংবিধানের দোহাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেই নির্বাচন হবে এই প্রত্যয় বারবার সরকার পক্ষ থেকেই ঘোষণা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন আসে, সংবিধান কি সংশোধনযোগ্য নয়? সংবিধান কি কোন আসমানী কিতাব যা সংশোধন করা যাবে না? সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে; যে ক্ষমতা বলে সংবিধানের ৫৮খ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ‘নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন’ অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করা হয়েছিল; সেই একই ক্ষমতা বলে (১৪২ অনুচ্ছেদ) সংবিধান থেকে ‘নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন’ বাতিল করে ক্ষমতাসীনদের অধীনে জাতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনঃবহাল করা হয়েছে। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা নিন্মরূপ:
‘এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্বেও
(ক) সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোন বিলের সম্পূর্ণ শিরনামায় এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরূপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা যাইবে না;
(আ) সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরূপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না;
(খ) উপরি-উক্ত উপায়ে কোন বিল গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাহা উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন, এবং তিনি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।’
১৯৭২ সন থেকে এ পর্যন্ত ১৬ বার বাংলাদেশের সংবিধানকে ক্ষমতাসীনরা সংশোধন/পরিবর্তন করেছে, ফলে সংবিধান ধর্মগ্রন্থ নয় যা পরিবর্তন করা যাবে না। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই সংবিধান সংশোধন করা যাবে। পৃথিবীর বহু রাষ্ট্র লিখিত সংবিধান ছাড়াই ভালো চলছে, যেমন- যুক্তরাজ্য। অতএব, সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচনকে নিজ মুঠোতে আবদ্ধ রাখা একটা বাতুলতা মাত্র।
বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন অ্যাপিলেট ডিভিশন কর্তৃক ১০ মে ২০১২ প্রদত্ত একটি খন্ডিত রায়ের রেফারেন্স উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনুচ্ছেদকে সংশোধন করে দলীয় সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন পুনঃ বহাল করেন। উক্ত রায়টি সর্বসম্মতিক্রমে ছিল না। বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক (তৎকালীন প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক, বিচারপতি এস.কে সিনহা, বিচারপতি মাহমুদ হোসেন রায়ে একমত পোষণ করলেও দ্বিমত প্রদান করেন বিচারপতি এম.এ. ওহাব, বিচারপতি নাজমুন আরা, বিচারপতি মো. ইমান আলী। নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন পদ্ধতি পুনর্বহালের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করে ১৫৬৩ অনুচ্ছেদের প্রদত্ত রায়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যুক্তরাজ্য ও বিভিন্ন বৈদেশিক আদালতের প্রদত্ত রায়ের রেফারেন্স প্রদান করেছেন। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলতে চাই যে, ইংল্যান্ডের সমাজ ব্যবস্থা ও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এক নয়। এখানে ‘বিবেক’ দিয়ে কাজ খুবই কম হয়। জনপ্রশাসন ও জনগণের একটি অংশ এ দেশে ভাড়ায় খাটে; বিবেক দিয়ে নয়। অতএব, নির্বাচন পদ্ধতি যেহেতু রাজনৈতিক সেহেতু জনগণের মতামতের বা চিন্তা-চেতনার উপর ভিত্তি করে সংবিধানে নির্বাচন পদ্ধতি সন্নিবেশিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বিশিষ্ট রাষ্ট্র বিজ্ঞানী A.V. DICEY বলেছেন, ‘আইনের সার্বভৌমত্ব সব কথা নয়, মানুষ নিয়ে রাষ্ট্র। মানুষ যদি বিদ্রোহী হয়ে উঠে, তবে আইন অচল হয়ে পড়ে। আদালত এমন কিছু করতে পারে না, যাতে গণবিদ্রোহ দেখা দিতে পারে। আইনের সার্বভৌমত্বকে মাথা নত করতে হয় গণ সার্বভৌমত্বের কাছে। আইনের শেষ ভিত্তি হলো একটা দেশের সর্ব সাধারণের সাধারণ সম্মতি।’
একটি গোষ্ঠিগত চিন্তাকে মাথায় রেখে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে; সমষ্টিগত চিন্তা-চেতনায় নয়। সংবিধানকে একটা বোঝা বানিয়ে গণতন্ত্রের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, তাই সংবিধানের কারণে গণতন্ত্র এখন নিষ্পেষিত, যার একমাত্র সমাধান জনগণের রায় ভিত্তিক সরকার, যা সকলের এক মঞ্চে না দাঁড়ানো পর্যন্ত সম্ভব নয়।
লেখক : কলামিস্ট ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ