Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ল²ীপুরে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এস এম বাবুল(বাবর) ল²ীপুর থেকে : ল²ীপুরের কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের উত্তর অংশে ধঁস নেমে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে কমলনগরের হাজার হাজার মানুষ। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময় যথাযথভাবে বøক স্থাপন এবং জিও ব্যাগ ড্রাম্পিং না করাসহ নানা অনিয়ম ও নি¤œমানের কাজের কারণে নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস নামার কথা বলছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ নির্মাণ কাজের প্রথম দিকে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে ড্রাম্পিং করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের উত্তর অংশের প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ড্রাম্পিং করা হয়নি। যে কারণে বর্ষা শুরু হওয়ায় সাথে সাথে বাঁধে ধস নেমেছে। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
২০১৪ সালে ল²ীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এ বরাদ্দ দিয়ে রামগতির আলেকজান্ডার এলাকায় সাড়ে তিন কিলোমিটার, রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার এবং কমলনগর মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের কথা।
২০১৫ সালের ১ ফেব্রæয়ারিতে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে ১৯ ইঞ্জিনিয়ারি কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন আলেকজান্ডার এলাকায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে সাড়ে তিন কিলোমিটার সফলভাবে বাস্তবায়ন করে। একই সময়ের কমলনগরে এক কিলোমিটার কাজ পায় নারায়নগঞ্জ ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। বরাদ্দের দুই বছর পর প্রতিষ্ঠানটি ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দিয়ে কাজ শুরু করে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে নামেমাত্র কাজ শুরু করে নি¤œমানের বালু ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের চাপের মুখে কাজ বন্ধ করে দেয়। বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদে ও যথাযথভাবে কাজ করার দাবিতে ওই সময় মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। নির্ধারিত ঐ ১ কি.মি. বাঁধের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কাজ শেষ হতে না হতেই বাঁধের উত্তর অংশের প্রায় ২০০ মিটার এলাকা ধসে পড়ছে। ভেঙে গেছে বেশ কিছু অংশ। বাঁধ ভেঙে বøক নদীতে পড়ে যাচ্ছে। সৃষ্ট ঘটনায় ভাঙ্গন আতঙ্কে এলাকায় ব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানা বলেন, ভালো বালু প্রাপ্তিতে অসুবিধার কারণে সামান্য কিছু অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ যথাসময়ে ডাম্পিং করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে তীব্র জোয়ারে বাঁধের ওই অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
ল²ীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বলেন, ড্রাম্পিং না করে বøক স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধে ধস নেমেছে। নদীর ভিতরে বøক দিয়ে গার্ড লাইন দেওয়া হয়; বøকের পরে ৪০ মিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কথা কিন্তু তা না করায় বাঁধ নদীতে নেমে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিষয়টি দেখছে; আশা করি দ্রæত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ