Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে দশ লক্ষাধিক মানুষ

সাতক্ষীরায় সড়কে বেহাল দশা

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ডি.বি গার্লস হাইস্কুলের সামনে সড়কে জমেছে হাঁটু জল। স্কুলের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ পানি পার হতে গিয়ে নাকাল হয়ে পড়ছেন। একই অবস্থা ব্রহ্মরাজপুর ডি. বি ইউনাইটেট হাইস্কুলের সামনেও। এ স্কুলে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সড়কের পানি পার হয়ে স্কুলে যেতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষার্থীদের পাশাশাশি সাধারণ মানুষও নাকানি-চুবানি খাচ্ছেন এ সড়কে। ব্রহ্মরাজপুর বাজারের দু’ প্রান্তে সড়ক বিভাগ পিচের উপর ইটের সোলিং নির্মাণ করায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটিতে পানি জমে খালের আকার ধারণ করে। এমনিতে সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। ২৪ কিলোমিটারের এ সড়কটি ভরে গেছে খানাখন্দে। এতে করে সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার পণ্য পরিবহনের একমাত্র রুট এটি। রোগী আনা নেওয়ায়ও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ অবস্থা একদিন দুদিনের নয়। বছরের পর বছর চলছে দুর্ভোগ। বেহাল সড়কেই ¤øান হয়ে গেছে সরকারের উন্নয়ন।
ডি, বি, গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: এমাদুল ইসলাম দুলু বলেন, তার স্কুলের সামনে রাস্তার উপর জমেছে হাঁটুজল। স্কুলের প্রায় চারশত শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুলের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেকেই স্কুলে আসতে চায় না। সড়কটি পার হতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের পোশাক ও বইখাতা ভিজে একাকার হয়ে যায়। এতে অনেকেই ক্লাশ করতে পারে না।
তিনি আরো জানান, স্কুলে একটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মালামাল আনতে পারছেন না। যে কারণে স্কুল ভবনটি নির্মাণে অযথা সময় ক্ষেপন হচ্ছে। আর প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর। প্রধান শিক্ষক বলেন, ভবন নির্মাণ করার কারণে স্কুলের পুরাতন ঘরটি ভাঙ্গা হয়েছে। যে কারণে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট প্রকট হওয়ায় স্কুলের ছাদের উপর টিন শেড দিয়ে অতি কষ্টে রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাশ পরিচালনা করতে হয়। সড়কটি সংস্কার হলে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ দ্রæত গতিতে সম্পন্ন হবে। দুর্ভোগও লাঘব হবে বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছে। এদিকে সোমবার সকালে খবর পেয়ে সাতক্ষীরা নবাগত শিক্ষা অফিসার মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও সড়ক বিভাগকে অবহিত করবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ