Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের আশ্রয়কেন্দ্রে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে ঠাঁই

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


কবির হোসেন, কাপ্তাই(রাঙ্গামাটি) থেকেঃ কাপ্তাই উপজেলার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ১৮ জনের মৃত্যু ৪৬ জনের বসতবাড়ি ভেঙ্গে দীর্ঘ ২০/২২ দিন কাপ্তাই উচচ বিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেয়। এদিকে বিদ্যালয় খোলার কারণে উপজেলা প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রের লোকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সভা, মিটিং করতে থাকে। আশ্রয়কেন্দ্রের লোকদের অস্থায়ী ভিত্তিত্বে বিভিন্ন প্রশাসনের সাথে আলাপচারিতা করে তিন মাসের জন্য বসতবাড়ি হারা ৪৬ পরিবারকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় চুক্তিভিত্তিক মাথা গোজার ঠাঁই দেওয়া হয়। এদিকে আশ্রয় কেন্দ্র হতে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার পর কাপ্তাই উচচ বিদ্যালয় চালু করা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রের আমির আলী, ইসমাইল, ঝর্ণা বেগম বলেন, পাহাড় ধসের ফলে আমরা আজ বসত-বাড়ি হারা হয়ে যাযাবরের মত এদিক উদিক যাচ্ছি। কোথায় আমাদের চিরস্থয়ী ঠাঁই হলনা।
আর কত কাল আমাদের এভাবে থাকতে হবে। এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের কেউ দিতে পারেনা। ভোট আসে আমাদের নিকট হতে ভোট নিয়ে নেয় কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনেনা। তাই আমাদের যাযাবরের মত না গুড়িয়ে চিরস্থায়ী একটি ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট আবেদন জানাই। আমাদের তিন মাসের জন্য উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাসা-বাড়িতে ঠাঁই দিয়েছে এ তিনমাস গেলে আমরা কোথায় যাব। তাই তিন মাসের মধ্যে আমাদের চিরস্থায়ী ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করি। এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন,কাপ্তাই উপজেলার ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১৮ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ৬ থেকে সাতশত পরিবারের ঘরবাড়ি গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দশকোটি টাকা বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া দূর্যোগ মনন্ত্রনালয় হতে একজন কর্মকর্তা কাপ্তাইয়ের সকল ক্ষয়ক্ষতি মনিটরিং করছে বলে উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবারে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,আমরা আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনকে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে বিভিন্নস্থানে ঠাঁই করে দিয়েছি পরবর্তী কি করা যায় আমরা উধর্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ