Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তানোরে সরকারি জায়গার শতবর্ষী গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে বিএনপি মতাদর্শী সমাজপতির বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা জবরদখল ও জায়গার উপর থেকে প্রায় শতবর্ষী একটি পাইকড় গাছ কেটে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের পক্ষে নাদের আলী বাদী হয়ে আব্দুল লতিফসহ চার জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তানোরের কলমা ইউপির ভালুকাকান্দর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে মামলার নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে তিনি নিজেই মামলা না করার নির্দেশ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ জুন তানোরের বলমা ইউপির ভালুকাকান্দর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব আলীর পুত্র আব্দুল লতিফ তার সহযোগীদের নিয়ে ভালুকাকান্দর মৌজার ১৬৬৯ নম্বর দাগে অবস্থিত একটি শতবর্ষর্ পাইকড় গাছ কেটে আত্মসাত করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী ঘটনা সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা ভ‚মি অফিসের সার্ভেয়ার রণজিৎ কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে চলতি বছরের ৮ জুন সার্ভেয়ার ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন এবং এতে সরকারের প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন। আর প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাছ নিধনকারী আব্দুল লতিফ গং-এর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে প্রতিবেদন দাখিলের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে আব্দুল লতিফ গং-এর বিরুদ্ধে এখানো কোনো মামলা বা অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, এমনকি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, গাছ নিধনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আত্মীয় হয় এবং বিষয়টি জানার পরে তিনি নিজেই এখন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রণজিৎ কুমার বলেন, প্রতিবেদন দেয়ার পর ইউএনও স্যার মামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার মামলা না করার নির্দেশ দিয়েছেন, যে কারণে এখানো মামলা করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানো কেনো মামলা করা হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার’ আবু সাঈদ বলেন, শুনেছি মামলা করা হবে তবে এখানো কোনো মামলা করা হয়নি বিষয়টি রহস্যজনক। এ ব্যাপারে আব্দুল লতিফ বলেন, গ্রামবাসীদের সকলের সম্মতিতে মসজিদের উন্নয়নের জন্য গাছ কাটা হয়েছে, এখানে তার ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ