Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেতু আছে, সড়ক নেই

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ৪১লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটির কোন সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি কাল্টার মাল্লি নামক স্থানে ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ’ টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ করা হলেও রাস্তা না থাকায় লোকজনের কোন কাজেই আসছে না সেতুটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়ন ও নিতাই ইউনিয়নের শেষ সীমানায় ওই সেতুর অবস্থান। সেতুর এক প্রান্ত কিশোরগঞ্জ উপজেলার সড়কের সাথে সংযুক্ত। কিন্তু অন্য প্রান্তে প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে শুধু ফসলের মাঠ। পায়ে হাটারও পথ নেই। রাস্তা না থাকার কারণে চলাচল করছেনা কোন যানবাহন। এমনকি রাস্তা না থাকায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য এ সেতু দিয়ে পরিবহন করা যাচ্ছে না। বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের মজিবর রহমান বলেন, সেতুটির নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল। সেতু হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেতুর পশ্চিম পাশ্বে নিতাই ইউনিয়নের সীমানায় রাস্তার কোন অস্তিত্ব নেই। রাস্তা না থাকলে সেতু করে কি লাভ হল। প্রতিবছর আলু চাষীরা হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে। কৃষকের সেই উৎপাদিত আলু নিতাই কাচারীর বাজার দিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে কিশোরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা হলে সেতু দিয়ে নিতাই থেকে কিশোরগঞ্জ বাজারের দুরত্ব হতো মাত্র দেড় কিলোমিটার। এতে করে আলু সহ কৃষকের উৎপাদিত পণ্য খুব সহজেই কিশোরগঞ্জ বাজারে নেয়া যেত। নিতাই ইউনিয়নের কাচারীর বাজার গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, তারাগঞ্জ-কাচারীর বাজারের মুল সড়কের সাথে সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। সড়ক নির্মাণ হলে মূল সড়ক হতে ওই সেতুর দুরত্ব হবে দুই কিলোমিটার। এ ব্যাপারে বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাইর রহমান শাহ দুলু ও নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, এ সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জমির মালিকদের সাথে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা করে দেব। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, সেতু নির্মাণের আগে রাস্তা না থাকার কারনে আমি সেখানে সেতু নির্মাণ করতে চাইনি। কিন্তু সেতুটি এলাকাবাসির কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তাছাড়া দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা আমাকে বলেছে সেতু হলেই আমরা রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা করব। তাই আমি ঠিকাদারকে দিয়ে সেতুর দু’পার্শ্বে মাটি ভরাট করে নিয়ে তার পর বিল দিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ