রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলায় মাছের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। জেলা মৎস্য বিভাগ প্রতি বছর ঘটা করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর নামে মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা আবমুক্ত করলেও তা তেমন কাজে আসছে বলে মনে হয় না। জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলো বর্তমানে পানির অভাব থাকলেও বর্ষার সময় নদী পানিতে ভরে যায়। জেলায় জেলেদের সংখ্যাও কম নয়, তাদের রয়েছে প্রয়োজনীয় জাল নৌকা কিন্তু নদ-নদীতে নেই মাছ। সারাদিন জাল বেয়ে যে, পরিমান মাছ তারা পায় তা দিয়ে একজনের ভরণ পোষন চালানো কষ্ট কর। তার উপর রয়েছে তাদের পরিবার। এ কারণে অনেকেই পেষা ছেড়ে অন্য পেষায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। মাগুরা জেলায় মাছের চাহিদা বছরে ১৭ হাজার ৪৩১ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয় ১৫ হাজার ৬০ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকছে প্রতি বছর ২ হাজার ৩শ’ ৭০ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের ২০ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি বছর জেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে সরকারি ভাবে মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা ছাড়া হয় নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কিন্তু সে মাছ যায় কোথায় তা কেউ জানে না। মাগুরা জেলায় প্রধান নদ-নদীর মধ্যে গড়াই, মধুমতি, নবগঙ্গা, কুমার ও ফটকি নদী প্রধান। শুষ্ক মৌসুমে এসব নদ-নদীতে পানি তেমন একটা না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে নদীগুলো পানিতে ভরে যায়। প্রতি মৌসুমে মৎস্য বিভাগ মৎস্য সপ্তাহ পালন করে। বিভিন্ন নদ-নদীর জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয় ঘটা করে। সরকারের লাখ লাখ টাকার পোনা ছাড়ার নামে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়। কিন্তু কি পরিমাণ মাছের পোনা ছাড়া হয় তা কেউ জানে না। আসলে ছাড়া হয় নাকি খাতা কলমে দেখানো হয় এ প্রশ্ন দেখা দেয় তখনই যখন জলাশয়ে মাছের কোন দেখা পায়না জেলেরা। তবে সরকারের উদ্দেশ্য মানুষের আমিষের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার। সাথে সাথে জেলার ৫০ হাজার জেলে পরিবারের কাজের সুযোগ সৃষ্ঠি করা। কিন্তু এ পরিকল্পনা কাদের কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়না তা কেউ কোন সময় হিসাব নেয়না। জেলায় মৎস্য বিভাগের হিসেব মতে জেলায় ৬ হাজার পুকুর, ৮১টি বিল, ৬৮ টি বাওড়, ৫১টি খাল, ৮টি নদী ও ২০টি প্লাবন ভ‚মি রয়েছে। এ হিসেব হয়ত খাতা কলমে, বাস্তবে এর মিল খুজে পাওয়া যাবে না। এমন কথা বলে থাকে অনেকেইে। মাগুরা জেলার মাছের ঘাটতি কমাতে মৎস্য বিভাগের আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। কেবলমাত্র প্রতি বছরের মত মৌসুমে ককেটি জলাশয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মাছের পোনা অবমুক্তির মধ্যে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখলে মাগুরার মাছের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবেনা। সরকারের পরিকল্পনাও কোনদিন বাস্তবায়ন হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।