Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাটহাজারীতে রকমারী ফলের দোকান ফরমালিনে সতেজ বাজারের ফল

| প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : হাটহাজারীতে বিভিন্ন ফলের দোকানে মধু মাসের ফল মূল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এইসব ফল কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা হইতো অনেকে জানে না। এখন সারা বাজারে ফল বিক্রিতার দোকানে আম, জাম, লিচু, আপেল, মালটা, আঙ্গুর, কলা ও পেঁপে সহ নানা দেশ বিদেশি ফল ভরপুর। দামও বেশ চড়া। অথচ মানব দেহের জন্য অনেক বেশ উপকারী হলেও এইসব ফলের সাথে মিশানো হচ্ছে ফরমালিন ও কার্বাইড সহ নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যাহা মানুষকে ক্রমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আজকাল ফল মূলে এই ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থ লোভী এইসব ফল বিক্রিতা ও এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে এখন সচেতন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে। সমগ্র হাটহাাজারীর মানুষের কাছে নিশ্চিত ও সমালোচিত একটি বিষয়ের নাম খাদ্য, ভেজাল আর তার সাথে একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ফল-মূলে ক্ষতিকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার। এখন আম লিচু, আপেল, কাঁঠাল, আঙ্গুর, জাম, পেঁপে সহ ফলমূলকে সতেজ রাখতে ও পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বো হাইড্রেড। যা লিভার, কিডনী ও দৃষ্টি ধ্বংসকারী বলে বিষেজ্ঞ ডাক্তারদের মন্তব্য করতে শোনা গেছে। শুধু তাই নয় এইসব ফলে আরো ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন ও কার্বাইড। আর এসব ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত ফলমূল খেয়ে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে উপজেলার শত শত মানুষ। অথচ এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান নেই বললেই চলে।
উপজেলা সদরের কয়েকজন ফল বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু রাজশাহী জেলা শহর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উন্নত জাতের লিচুগুলো এখানে বিক্রি করা হয়। কিন্ত লিচু একদিন বা দুইদিনের বেশি রাখা যায় না। যদি লিচুতে ফরমালিন দেওয়া হয় তাহলে ৪/৫ দিন সতেজ রাখা যায়। সরজমিনে দেখা গেছে, হাটহাজারী বাজার সহ বিভিন্ন বাজার যেমন মদুনা ঘাট, আমান বাজার, ইসলামিয়া হাট, নন্দীরহাট, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, মদনহাট, হাটহাজারী বাজার বাসষ্টেশন, সরকারহাট, চারিয়া বাজার, কাটিরহাট বাজার, মনিয়া পুকুর পাড়, নাজিরহাট, ইছাপুর বাজার সহ প্রভৃতি বাজারে এইসব ফল বিক্রি করে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রফেসর ও মেডিসিন বিষেজ্ঞ ডা: আমিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বহু ধরনের ফল বাজারে আসছে। সব ফলের মধ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রণ করে পাকা করছে। তাই এসব খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাক্তার শেখ ফজলে রাব্বি জানান, এসব ফল বিক্রিতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ