বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও সরকার ত্রাণ নিয়ে মানুষের সাথে উপহাস করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সেইসাথে সরকারের লবণ আমদানিতে '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারো দরজায় নাড়া দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রের পানিতে লবণ উৎপাদনের কোনো সমস্যা নেই। তারপরও সরকার ৫ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারো দরজায় নাড়া দিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের গুম খুনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুম, অপহরণ, অবৈধভাবে আটক, বিচার-বহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আদিম অমানবিকতা বর্তমানে সারাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। দুঃশাসনের বিষাক্ত ছোবলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মী, শ্রমিক নেতা, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে, অদৃশ্য হয়ে গেছে অন্ধকারের অতলে।
ফরহাদ মজহারের অপহরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথায় দেশবাসী ব্যথিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের রক্ততৃষ্ণা মেটাতে আরেকজন শিকার হচ্ছিলেন দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার জনাব ফরহাদ মজহার। এই ঘটনায় এখন গোটা জাতি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। এই ট্রমা শুধু ফরহাদ মজহারকেই আক্রান্ত করেনি, সারা দেশবাসীকেই করেছে। ফরহাদ মজহার অপহরণকে নিছক সন্ত্রাসীদের অপহরণ বলে চালানোর অপচেষ্টা করে সরকার ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেসমস্ত অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলেছে তা নাটকের যবনিকার অন্তরালে প্রকৃত ঘটনা ক্রমাগতভাবে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশব্যপী একের পর এক এধরণের গুম, অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ভোটার বিহীন সরকারের আক্রোশের শিকার কে হন কিংবা কার ভাগ্যে কখন কি ঘটে সে বিষয়ে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন জীবনযাপন করছে দেশের মানুষ।
বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপদে জীবন-যাপন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক তদন্ত ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে এখন বিষাক্ত কাঁটার খাঁচার মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। বাংলাদেশে প্রতিটি জনপদে জনপদে, বাড়ীতে বাড়ীতে মৃত্যু ভয়, গুমের ভয়, অপহরণের ভয়, নিখোঁজের ভয়, বিনা বিচারে আটকের ভয় নিয়ে গভীর আশঙ্কায় মানুষ জীবন যাপন করছে।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এলাকার মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। প্রধানমন্ত্রী যদিও গতকাল বলেছেন- বানভাসিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। বাস্তবে বানভাসি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। কোনো কোনো এলাকায় খাদ্য, পানি বা চাল না দিয়ে খাওয়ার অনুপযোগী সামান্য কিছু গম দিচ্ছে, যে গম প্রচণ্ড বৃষ্টিতে শুকোতে কিংবা গম ভেঙ্গে খেতেও পারছে না। এটি কি বানভাসি অসহায় মানুষদেরকে নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে? আসলে লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রীয় খাদ্যভান্ডারগুলো এখন যে শূন্য সেটি প্রমাণিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করলেও সরকার ত্রাণ নিয়ে মানুষের সাথে উপহাস করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সেইসাথে সরকারের লবণ আমদানিতে '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারো দরজায় নাড়া দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রের পানিতে লবণ উৎপাদনের কোনো সমস্যা নেই। তারপরও সরকার ৫ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে '৭৪-এর দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারো দরজায় নাড়া দিচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের গুম খুনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটার বিহীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুম, অপহরণ, অবৈধভাবে আটক, বিচার-বহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আদিম অমানবিকতা বর্তমানে সারাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। দুঃশাসনের বিষাক্ত ছোবলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মী, শ্রমিক নেতা, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে, অদৃশ্য হয়ে গেছে অন্ধকারের অতলে। ফরহাদ মজহারের অপহরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথায় দেশবাসী ব্যথিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের রক্ততৃষ্ণা মেটাতে আরেকজন শিকার হচ্ছিলেন দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার জনাব ফরহাদ মজহার। এই ঘটনায় এখন গোটা জাতি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। এই ট্রমা শুধু ফরহাদ মজহারকেই আক্রান্ত করেনি, সারা দেশবাসীকেই করেছে। ফরহাদ মজহার অপহরণকে নিছক সন্ত্রাসীদের অপহরণ বলে চালানোর অপচেষ্টা করে সরকার ও দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেসমস্ত অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা বলেছে তা নাটকের যবনিকার অন্তরালে প্রকৃত ঘটনা ক্রমাগতভাবে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে। বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশব্যপী একের পর এক এধরণের গুম, অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ভোটার বিহীন সরকারের আক্রোশের শিকার কে হন কিংবা কার ভাগ্যে কখন কি ঘটে সে বিষয়ে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন জীবনযাপন করছে দেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপদে জীবন-যাপন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক তদন্ত ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে এখন বিষাক্ত কাঁটার খাঁচার মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। বাংলাদেশে প্রতিটি জনপদে জনপদে, বাড়ীতে বাড়ীতে মৃত্যু ভয়, গুমের ভয়, অপহরণের ভয়, নিখোঁজের ভয়, বিনা বিচারে আটকের ভয় নিয়ে গভীর আশঙ্কায় মানুষ জীবন যাপন করছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এলাকার মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। প্রধানমন্ত্রী যদিও গতকাল বলেছেন- বানভাসিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। বাস্তবে বানভাসি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। কোনো কোনো এলাকায় খাদ্য, পানি বা চাল না দিয়ে খাওয়ার অনুপযোগী সামান্য কিছু গম দিচ্ছে, যে গম প্রচণ্ড বৃষ্টিতে শুকোতে কিংবা গম ভেঙ্গে খেতেও পারছে না। এটি কি বানভাসি অসহায় মানুষদেরকে নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে? আসলে লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রীয় খাদ্যভান্ডারগুলো এখন যে শূন্য সেটি প্রমাণিত হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।