Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের নেতা সঙ্কট

| প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা ঃ ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতাশুণ্যতা হয়ে পড়েছে। নগরকান্দা-সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ ফরিদপুর-২ আসন। এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। কিন্তু সাজেদা চৌধুরী অসুস্থ্য থাকার কারণে এলাকার দায়িয়েত্ব নিয়োজিত থাকেন তার পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামা। কিছু দুস্টু লোকের প্রচারণায় নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের দল থেকে বিতারিত, নির্যাতন, হামলা-মামলা করে দুরে সরে রেখেছেন এবং কিছু হাইব্রীড সুবিধাভোগী নেতাদের নিয়ে দুই উপজেলায় কর্মকান্ড চালিয়েছেন। যে কারণে নগরকান্দা-সালথার সাধারণ ও তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামার প্রতি। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় দলীয় কোন্দলের কারণে ৮/১০টি মার্ডার হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাংচুর হয়েছে কয়েক শত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। এত ক্ষতির মূল নায়ক হচ্ছে হাইব্রীড নেতাকর্মীরা। তার মধ্যে রয়েছেন বিএনপি থেকে যোগদানকৃত সালথা উপজেলার চেয়ারম্যান অহিদ, এই অহিদের কারণে অনেক প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতা নির্যাতিত হয়ে মামলা খেয়ে এলাকা থেকে বিতারিত। ওই সকল প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতারা ফরিদপুর শহরে ও ঢাকায় অবস্থান করছে। এই ধরণের নির্যাতনের কারণে প্রায় ৭০ ভাগ আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতাকর্মীরা বিপক্ষে অবস্থান করছে। অবশ্য এ ধরণের ঘটনার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দায়ী নয়। দায়ী হচ্ছে তার পূত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু।
এলাকাবাসী জানান, আমাদের ভাড়া করা নেতা দরকার নেই। বাবুল চৌধুরী তার নিজ এলাকা চট্টগ্রাম জেলায় গিয়ে রাজনীতি করুক। সালথাকে আর অশান্ত করবেন না। আমাদের নেতার অভাব হবে না। আমাদের নেতাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। সাজেদা আপা সুস্থ্য থাকলে এবং তিনি নোমিনেশন পেলে আমরা তাকে জয়যুক্ত করবো। তারা আরো জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হাইব্রীড নেতাদের বহিস্কার না করলে নির্বাচনের ফলাফল পক্ষে থাকবে না।
তবে সৈয়দা চৌধুরীর বিকল্প নেই। তিনি সালথা-নগরকান্দায় উন্নয়নমূলক কাজের রূপকার। নগরকান্দা-সালথায় এখন প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়ে কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। নির্যাতিত প্রকৃত আওয়ামীলীগারদের টিকেয়ে রাখার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদপুরের আওয়ামীলীগের দুই সহোদর সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। এই দুই সহদরের কারণে নগরকান্দা ও সালথায় প্রকৃত আওয়ামীলী কর্মীরা নির্যাতন থেকে নিস্তার পেয়েছেন। অনেক নেতকর্মীরা ঢাকা ও ফরিদপুর থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের কোনো যোগ্য প্রার্থী নেই। সেক্ষেত্রে নগরকান্দা-সালথা উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতাশুন্যতা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ