বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ায় পুলিশের ১২ ঘণ্টার একটানা অভিযানে জাহেদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক এনজিও কর্মকর্তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় প্রক্রিয়ায় জড়িত ৪ নারী সহ সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত মুক্তিপণের ৮০ হাজার টাকা সহ অপহৃত জাহেদুল ইসলামকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল নিশিন্দারা চকরপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সুলতান (২৬), হাকির মোড়ের ফুহাদ হাসেন মানিক (২৬) একই এলাকার মৃত বুলু প্রাং এর ছেলে আব্দুল গফুর (৩০), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে পিয়াস (৩০), দক্ষিণ আটাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে মনির (২৮), শহরের মালতিনগর (পূর্বপাড়া) এলাকার ঠান্ডু মিয়ার ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৮) , শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের শামীম সরকারের স্ত্রী মালা বেগম (২০) , বৃন্দাবনপাড়ার গফুরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হায়দার আলীর স্ত্রী শরমিন আক্তার (৩০) এবং দক্ষিণ আটাপাড়া গ্রামের মুনির হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগম (২২)। পুলিশের অভিযান কালে পালিয়ে গেছে বৃন্দাবনপাড়ার পান্নার মেয়ে তালাশ (৩৫) এবং কাটনার পাড়ার সাগর (২৪) ।
পুলিশ জানায়, গাইবান্ধা জেলার মহিমাগঞ্জের চরবালুয়া গ্রামের বাসিন্দা মুহা ইদ্রিস আলীর পুত্র এবং এসকেএস ফাউন্ডেশন এনজিও’র ঘোড়াধাপ ( বগুড়া সদর ) শাখার ইনচার্জ গত ৩ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে শহরের মাটিডালী বিমান মোড় এলাকায় ‘‘মক্কা মোটর’’ নামের একটি গ্যারেজের সামনে পৌছলে ২টি মোটর সাইকেল যোগে আসা ৫ অপহরণকারী তার গতিরোধ করে। এসময় তারা অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে তাদের মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় । পরে গভীর রাতে ওই অপহৃত এনজিও কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফোনে দিয়ে তার স্ত্রী রিনা বেগমের কাছে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় রাতেই অপহরণকারীদের দেয়া ২টি মোবাইল নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেয় তার স্ত্রী রিনা বেগম। এসময় তিনি কাকুতিমিনতি করে সময় চেয়ে পরদিন অবশিষ্ট টাকা জোগাড় করে বিকাশে দেবার অঙ্গিকার করেন তিনি ।
পরদিন তাদের কথা মত তিনি অপহরণকারীদের আরও ১ লাখ ১৬ হাজার বিকাশে পাঠান । এর এক পর্যায়ে রিনা বেগম তার দেবর সহ বগুড়া সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদ হোসেন এ ব্যাপার জরুরী ভাবে অ্যাকশনে যাবার জন্য ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসলাম আলীকে নির্দেশ দেন। এসময় আসলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে অভিযান শুরু করে। দুপুরে শহরের উপশহর এলাকা থেকে সুলতান ও ফুয়াদ হাসানকে একটি বিকাশ সেন্টারের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে শহরের বনানী এলাকা থেকে আরও ২জন অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় তারা।
আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ও তাদের দেয়া তথ্যে রাতে শহরের মালতিনগর এলাকার অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় অপহৃত এনজিও কর্মকর্তা জাহেদুলকে। এসময় অপহরকরণকারীদের হেফাজত থেকে মুক্তিপণের ৮০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। তবে এখানে পুলিশের অভিযান কালে পালিয়ে যায় তালাশ এবং সাগর নামের এক নারী ও পুরুষ ।
এ ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা জাহেদের ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।