Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চৌদ্দগ্রামে কর্মী ও জনবান্ধব মুজিবুল হকের বিকল্প নেই

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম থেকে : রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হককে রাণী মৌমাছির সঙ্গে তুলনা করেন কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের আ’লীগসহ ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, একটি রাণী মৌমছিকে ঘিরে যেভাবে মৌমাছিরা মৌচাকে মধু সংগ্রহ করে, মুজিবুল হককে ঘিরে সেভাবেই নির্বাচনী রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান চৌদ্দগ্রামসহ কুমিল্লার আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্য-মুজিববুল হক একাধারে কর্মীবান্ধব, জনবান্ধব ও গরিব মানুষবান্ধব নেতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কুমিল্লা-১১ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে যিনিই প্রার্থী হোন, যতই টাকার ছড়াছড়ি হোক, চৌদ্দগ্রামে মুজিবুল হকের বিকল্প নেই। কুমিল্লার অন্যান্য নির্বাচনী এলাকাগুলোয় আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন প্রশ্নে আওয়ামী লীগে নানা মেরুকরণ, ক্ষোভ, অভিযোগ, অনুযোগ, গ্রুপিং ও বিরোধ দানা বাধলেও চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগে তার কোনোটিই নেই। ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই জাতীয় সংসদের হুইপ হন মুজিবুল হক। ২০০৮ সালে নির্বচনে দ্বিতীয়বার বিজয়ী হয়ে আবারও হুইপ হন তিনি। ওই সময়েই তাকে করা হয় রেলপথ মন্ত্রী। ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি অতিরিক্ত হিসেবে ধর্মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনের পর তিনি আবারো রেলপথমন্ত্রী হন।
ওইসব নির্বাচনে মুজিবুল হকের প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির তৎকালীন কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এক সময় জামায়াত অধ্যুষিত ছিল। মুজিবুল হকের রাজনৈতিক কৌশলে এখন পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে। জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহেরের সময় চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নানাভবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সেই ক্ষত শুকিয়েছেন মুজিবুল হক।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম নির্বাচনী এলাকায় আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য মোঃ কামরুল হুদা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে জামায়োতের ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহেরও জোটগতভাবে নির্বাচন কারার জন্য নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় নির্বাচনে ডা. তাহেরের প্রতিদ্ব›িদ্বতা করা অসম্ভব হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতারও স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কিন্তু চৌদ্দগ্রাম বিএনপি তার এ স্বপ্ন কখনো বাস্তবে রূপ নিতে দেবে না বলে জানিয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, ডা. তাহের ২০০১ সালে ২০ দলীয় জোট থেকে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় বিএনপিকে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। তার কারণে বিএনপি চৌদ্দগ্রামে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। ওই সময় বিএনপি গোটা উপজেলায় নির্যাতনের মুখে পড়েছিল। এদিকে জাতীয় পার্টির কাজী জাফর আহমেদ মৃত্যুর আগে নিজে পৃথক দল গঠন করায় চৌদ্দগ্রামে জাতীয় পার্টির এখন করুণ দশা। একই দশায় কাজী জাফরের জাতীয় পার্টিও।



 

Show all comments
  • তানবীর ৫ জুলাই, ২০১৭, ৭:৪৭ এএম says : 2
    একটু বেশি তেল দেয়া হয়ে গেলো না ?
    Total Reply(1) Reply
    • Kazi Prince ৬ জুলাই, ২০১৭, ৪:৩৩ পিএম says : 4
      Any kind of good work, bears the thankful. Could you understand Mr. Telu?
  • কামাল ৫ জুলাই, ২০১৭, ৭:৪৮ এএম says : 0
    সুষ্ঠ নির্বাচন হলে দেখা যাবে .............................
    Total Reply(0) Reply
  • Nurul Mostafa ৫ জুলাই, ২০১৭, ১:৪৯ পিএম says : 1
    রাইট
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ৫ জুলাই, ২০১৭, ৬:৩৫ পিএম says : 1
    পুরু লেখাটা হরিপ্রসাদ শাস্ত্রির "তৈল" প্রবন্ধের মত হয়ে গেল। গণতন্ত্রের জন্য তৈল সহায়ক নয়, তৈল হলো একনায়কত্বের উপকরন। তৈল দেওয়া বন্ধ করুন। গণতান্ত্রীক কথা বলুন। ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ