Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অদম্য শিক্ষার্থী আশার পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন এক সেনা কর্মকর্তা

জীর্ণ কুটিরে আলোকবর্তিকা !

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নড়াইল জেলা সংবাদদাতা : শত বাঁধা অতিক্রম করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া আশা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা। আশা এ বছর নড়াইলের তুলারামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিজ্ঞান শাখায় পেয়েছে জিপিএ-৫। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় কেটেছে আশা ও তার পরিবারের। মেধাবী আশা খাতুনের এই সাফল্যের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ হাসান ইকবাল।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের সন্তান সৈয়দ হাসান ইকবাল নড়াইল সদরের চাঁচড়া গ্রামে আশাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য আশাকে তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন সৈয়দ হাসান ইকবাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁচড়া গ্রামের লিটু বিশ্বাস, তুলারামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মধুমঙ্গল চৌধুরী, শিউলি খাতুন, কাইয়ূম আলী, সুকুমার চন্দ্র বিশ্বাস, শিশির বিশ্বাস, সুনীতা রানী সরকার, বিজয় কুমার, অর্পিতা রানী, কর্মচারী মোনায়েম হোসেন, আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
আশার মা জোবেদা বেগম জানান, তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। আশার বয়স যখন তিন বছর, তখন তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মানসিক যন্ত্রণা ও নির্যাতনের কারণে কুমিল্লা থেকে বাবার বাড়ি নড়াইলের চাঁচড়া গ্রামে চলে আসেন তিনি। বাবার বাড়িতে ভিটেমাটি ছাড়া তেমন কিছু না থাকায় নেমে পড়েন জীবনযুদ্ধ। কাঠোর পরিশ্রম করেও সন্তানদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটাতে অনেক বেগ পেতে হয় জোবেদা বেগমকে। তবুও সন্তানদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করার নিরন্তর চেষ্টা ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ